অকাল মৃত্যুর কবলে হাইভোল্টেজ ম্যাচ

ম্যাচটির বয়স সবেমাত্র চার মিনিট পেরিয়ে পাঁচ মিনিটে গড়িয়েছে। জালের দেখা পায়নি কোনো দলই। এ সময়ই বন্ধ হয়ে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচটি। মারামারি বা প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ নয়, করোনার কোয়ারেন্টাইন বিধি ঠিকমতো মানা হয়নি- এমন অভিযোগে ম্যাচটি পণ্ড হয়ে যায়। অভিযোগের তীর আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের দিকে। অকাল মৃত্যুর কবলে পড়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

কোয়ারেন্টাইন পালন না করায় ম্যাচটি পণ্ড হয়ে যায়

পেলের ব্রাজিল-ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার লড়াই মানেই অন্য রকম কিছু। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সুপার ক্লাসিকোটি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল ব্রাজিলের সাও পাওলোর নিও কুইমিকা অ্যারেনায়। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায়) শুরু হয় ম্যাচটি। কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। মাত্র দুইমাস পর আরেকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখতে যাচ্ছিল ফুটবল বিশ্ব।

মার্কা জানায়, ম্যাচটির বয়স পাঁচ মিনিটে গড়ালে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আর্জেন্টিনার চার খেলোয়ারের বিরুদ্ধে মাঠেই ব্যবস্থা নিতে আসেন। তারা হলেন- এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও জোভান্নি লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া। অভিযোগ তারা ব্রাজিলে খেলতে আসলেও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙেছেন। 

নেইমার ও মেসি

বিষয়টি নিয়ে মাঠের মধ্যেই বেশ হইচই হয়। এক পর্যায়ে খেলাই বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রন সংস্থা কনমেবল এক টুইটে ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করার কথা জানায়। বলা হয়, যেহেতু ম্যাচটি ফিফার প্রতিযোগিতার অংশ, তাই ম্যাচ অফিসিয়ালরা ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন। ম্যাচের ভবিষ্যত নিয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা।

ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির (আনভিসা) উদ্ধৃতি দিয়ে আর্জেন্টিনার ক্রীড়া পত্রিকা টিওয়াইসি জানায়, করোনার কারণে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ দেশ থেকেই ব্রাজিলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই (ব্রাজিলে) আসার সময় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়।

জানা গেছে, আর্জেন্টিনার যেসব খেলোয়াড় ভেনিজুয়েলা থেকে এসেছেন, তারাই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। তারওপর ইংল্যান্ড থেকেও চার খেলোয়াড় আসেন। মূলত তাদের নিয়েই এই কাণ্ড ঘটে।

রয়টার্স জানায়, যারা নিয়ম ভেঙেছে, তাদের খেলা নিয়ে আপত্তি জানায় দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। পরে তারা কথা বলেন দুই দলের অধিনায়কের সাথেও। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় রেফারি খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেন। পরে ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার কথা জানানো হয়।

সূত্র: মার্কা, রয়টার্স