পিএসজি প্রেসিডেন্ট: রিয়াল-বার্সা ও জুভেন্টাস ‘মিথ্যুক ও ব্যর্থ’

যেসব ক্লাব সুপার লিগ গঠন করতে চেয়েছিল, তাদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইন, পিএসজির প্রেসিডেন্ট নাসের আল-খেলাইফি। একই সঙ্গে ক্লাবগুলোর সেই প্রকল্প সফল করার ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতার দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নাসের আল-খেলাইফি

আল-খেলাইফি জোর দিয়ে বলেন যে, উয়েফা সেই বিতর্ক থেকে সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি যে তিনটি বিদ্রোহী ক্লাব (রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস) এখনো সেই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসেনি, তাদের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি।

ইউরোপীয় ক্লাব’স অ্যাসোসিয়েশনের (ইসিএ) নতুন প্রধান আল-খেলাইফি বলেন, ‘আমি ১৮ এপ্রিল এবং সেই তথাকথিত সুপার লিগ নিয়ে কথা বলে বেশি সময় নষ্ট করতে চাই না, কারণ আমি মিথ্যুক ও ব্যর্থদের পছন্দ করি না।’

তিনি বলেন, আমরা সবাই একত্রে ইউরোপীয় ফুটবলের স্বার্থ রক্ষা করেছি। আমরা (উয়েফা) প্রেসিডেন্টের (আলেকজান্ডার সেফেরিন) সংকল্প ও দৃঢ়তার ওপর নির্ভর করেছিলাম, যিনি মধ্যরাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জিতব’ এবং আমরা সেটা করেছি।

পিএসজি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘তিনটি বিদ্রোহী ক্লাব যখন শক্তির অপচয় করে, বিভিন্ন গাল-গল্প করে এবং আকাশে চিৎকার করতে থাকে, তখন আমরা বাকিরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।’

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কথা বলার সময় ইউরোপীয় ফুটবলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইসিএ’র পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকারের কথা প্রকাশ করেন আল-খেলাইফি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো— ইউরোপীয় ফুটবলে জরুরিভিত্তিতে আর্থিক স্থিতিশীলতা আনয়ন। যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে অনেক আর্থিক সমস্যা ফুটবলকে প্রভাবিত করেছে।

আমাদের দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হলো— গোটা ফুটবল পরিবার, বিশেষ করে উয়েফার সঙ্গে ইসিএ'র সম্পর্ককে শক্তিশালী করা।

তৃতীয় অগ্রাধিকার হলো— ইসিএ’র সদস্যদের জন্য আরো ভালভাবে কাজ করা তথা ক্লাবগুলোর জন্য মূল্যবান সম্পদ সরবরাহ করা। আমাদের উচিত নিজেদের জিজ্ঞাসা করা যে, ইসিএ তার সদস্যদের জন্য কী করতে পারে? আমার মতে, এই মুহূর্তে এটা যথেষ্ট নয়। এটি পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ বিষয়টি হলো— আমাদের নতুন ইসিএ’র জন্য বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি মূল বিষয় হওয়া দরকার। এটিই আমাদের সবচেয়ে সম্ভাব্য বড় শক্তি, কিন্তু আমরা সেটা খুব কম অনুসরণ করতে পারছি।

সর্বশেষ অগ্রাধিকারের বিষয়টি হলো— আমাদের সংগঠন ও ইউরোপীয় ফুটবলের অন্তর্নিহিত চেতনা ও মূল্যবোধ। যেটাকে কিছু লোক অদৃশ্য বলে মনে করেন, অথচ এটি আমাদের প্রত্যেকটি কাজেই দৃশ্যমান হওয়া উচিত।