আপনি পড়ছেন

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে সেদিন থেকেই পুরোদমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে না। ধাপে ধাপে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

classroom teachingশ্রেণিকক্ষে পাঠদান, ফাইল ছবি

এ লক্ষ্যে স্কুল-কলেজের প্রধানদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেখানে একটি মৌলিক রুটিন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র। এটি আগামীকাল বুধবার মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হতে পারে।

নতুন রুটিন অনুযায়ী, তিন ফুট দূরত্ব রেখে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৬ দিন শ্রেণিকক্ষে বসবেন। শনি থেকে বৃহস্পতিবার দুটি বিষয়ে ক্লাস হবে চারটি। ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে শনি ও রোববার দুটি বিষয়ের ওপর চারটি ক্লাস নেয়া হবে। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণি ক্লাস নেয়া হবে সোমবার, সপ্তম শ্রেণির মঙ্গলবার, অষ্টম শ্রেণির বুধবার এবং নবম শ্রেণির বৃহস্পতিবার। বলা হচ্ছে, মাধ্যমিকের সকল স্তরে দিনে দুটি বিষয়ে চারটি করে ক্লাস নেয়া হবে।

dr dipu moniদীপু মনি, ফাইল ছবি

এর আগে গত রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ডা. দীপু মনি জানান, সপ্তাহে একদিন ক্লাস হবে প্রাথমিকের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ এবং মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৯ম শ্রেণির। তবে ৫ম শ্রেণির ক্লাস চলবে প্রতিদিন। শুরুতে ৪ ঘণ্টা করে ক্লাস হলেও পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।

মাস্ক পরা ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে একেবারে কমবয়সীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সেটি দেখতে হবে শিক্ষকদের।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছরেরই ১৮ মার্চ। সংক্রমণ ঠেকাতে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় সেই ছুটির মেয়াদ, যা শেষ হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর।