সপ্তাহের মধ্যেই কাবুল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

আফগানিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছে আগামী সপ্তাহ থেকে। সংস্থাটির নতুন প্রেসিডেন্ট এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে কাতার ও তুরস্কের প্রকৌশলীদের সহযোগিতায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর ফের চালু করতে পারায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছবি-টিআরটি ওয়ার্ল্ড

গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে হেরাত, কান্দাহার ও মাজার-ই-শরীফে এ ফ্লাইট চালু হয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কাবুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী নয়াদিল্লির সঙ্গে প্রথম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হবে। এর দায়িত্বে রয়েছেন কারী রহমতুল্লাহ গুলজাদ।

গত ২০ বছরের যুদ্ধে পরাজিত যুক্তরাষ্ট্র আফগান ত্যাগের আগে দেশটির এভিয়েশনের মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে। তারা ৩১ আগস্ট আফগান ছাড়ে। তড়িঘড়ি প্রস্থান, ভয়াবহ বিস্ফোরণসহ নানা তৎপরতায় কাবুল বিমানবন্দরের টার্মিনাল, আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সের বিমান, কারখানা এবং কার্যালয় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আফগানিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা

গুলজাদ বলছেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুুতে কাতার ও তুরস্কের টেকনিক্যাল টিম আমাদের সহায়তা করছে। তারা এখনও কাবুল বিমানবন্দরে কাজ করে যাচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দর তার আন্তর্জাতিক রূপ পরিপূর্ণ ফিরে পেতে ওই টিমকে আরও এক মাস লাগাতার কাজ করে যেতে হবে।

তিনি বলছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দু-তিন দিনের মধ্যেই নয়াদিল্লি-কাবুল ফ্লাইট চালু হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। পরবর্তীতে তুরস্ক, আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ফ্লাইট পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

চিকিৎসার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আফগান নাগরিক ভারত ও তুরস্কে আটকে আছে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে। তাদের শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে অনেকেই মারা গেছে। আবার কিছু লোক অর্থ সংকটে ভুগছে। কিছু লোকের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতাও রয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর বহুমুখী সংকট নিয়ে দিন পার করছে কাবুল বিমানবন্দর। এর মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের আফগান ত্যাগের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি আরও বেকায়দায় ফেলে দেয় তালেবান কর্তৃপক্ষকে। ওই বিস্ফোরণে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালু সম্ভব হয়নি। নতুন সরকার ঘোষণায়ও বিলম্ব দেখা দেয়। সবমিলিয়ে কাবুলের সঙ্গে বিশ্বের বিমান যোগাযোগ এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। 

আনাদোলু এজেন্সি