আপনি পড়ছেন

তিউনিসিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এন্নাহদার অবস্থা বর্তমানে ভালো যাচ্ছে না। ২০১১ সালে জেসমিন বিপ্লবের পর দলটি ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকেই নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দলের অবস্থা বর্তমান শোচনীয় অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে।

rached ghannouchiএনাহদা পার্টির সহ-প্রতিষ্ঠাতা রশিদ ঘানুচি

জুলাইয়ে দলটির নেতাকর্মীরাসহ জনগণ দলটির নেতাদের প্রতি হতাশ ও দেশের অর্থনৈতিক চাপের মুখে বিক্ষোভ শুরু করেছিল। চলার পথে এন্নাহদা বার বার আপোষকামিতার পথ বেছে নিয়েছে এবং বর্তমানে তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ায় দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা হতাশা।

ইনসাইড অ্যারাবিয়ার এক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, তিউনিসিয়ার বর্তমান অবস্থায় এন্নাহদার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। ২৫ জুলাই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তিউনিসিয়ার এক শিক্ষার্থী বলছেন, এন্নাহদার দিন শেষ। তিউনিসিয়ার জনগণ এখন আর তাদের বিশ্বাস করে না। আমরা তাদের কিছুদিনের জন্য সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এখন ব্যর্থ।

ওই শিক্ষার্থী বলছেন, দিন দিন এন্নাহদার প্রতি জনগণের ঘৃণা বাড়ছে। জনগণের আস্থা দলটির উপর থেকে সরে যাচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই মূলত দলটি জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছে।

২০১১ সালে জেসমিন বিপ্লবে তিউনিসিয়ার সাবেক প্রসিডেন্ট জয়নাল বেন আলীকে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে এন্নাহদার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ছিল। মুসলিম ব্রাদারহুডের আদর্শবাহী দলটি তখনই দেশটির জনণের বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়।

কারণ বেন আলী এন্নাহদার বহু নেতাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। পরে এন্নাহদা সরকার গঠনের পর থেকে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। তারা জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও দেশের অর্থনীতি ফেরাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।

গত জুলাইয়ে সর্বশেষ তিউনিসিয়ার জনগণ বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকটি কারণে। এর মধ্যে রয়েছে- অর্থনীতির বিপর্যয়, রাজনৈতি অস্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে এন্নাহদার ব্যর্থতা। বিক্ষোভকারীদের কিছু অংশ এন্নাহদার অফিসে হামলা করে ও সম্পদ লুটে নেয়। এই অস্থিরতার মধ্যেই মূলত দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হন।

কারণ কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল, যার দায় দেওয়া হচ্ছিল এন্নাহদার ওপর। প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত করেন এবং এমপিদের পদ হরণ করেন। এসময় করোনায় ব্যাপক খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল দেশটি।

তিউনিসভিত্তিক রেডিও সাংবাদিক ও কলামিস্ট হায়থেম এল মেক্কি বলছেন, জনগণ মূলত সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিশেষ করে রাজনৈতিক দল এন্নাহদার ওপর। এন্নাহদা সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী মেচিচি করোনা প্রতিরোধে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। মহামারি প্রতিরোধে তার সরকার কিছুই করতে পারেনি, এমনকি একটি টিকাও আমদানি করতে পারেনি।

বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, যখন রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করছে, তখন তিউনিসিয়ার জনগণ প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পক্ষে আওয়াজ তুলছে। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই একটি মতামত জরিপে ৮৭ ভাগ জনগণ প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দেয়।

আর এই কারণেই প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো বিক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠেনি। এমনকি এন্নাহদার প্রধান রাশিদ ঘানুচিও জনগণকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানান। অথচ এই ঘানুচিই প্রথম প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপকে অবৈধ অভ্যুত্থান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন এন্নাহদা চরম অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.