আপনি পড়ছেন

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর পর আজ রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে সরকার। এদিন সরকারি নির্দেশনা মেনে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বলেছে কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও ব্যতিক্রমও দেখা গেছে কোনো কোনো জায়গায়।

students cleaned schoolস্কুল পরিষ্কার করলো শিক্ষার্থীরা

তেমনই দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের শৌলমারী ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দূরের কথা, যথাসময়ে আসেননি শিক্ষকরাই। ফলে বাধ্য হয়ে ঝাড়ু হাতে নিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। পরে গাদাগাদি করে শ্রেণিকক্ষে বসানো হয় তাদের।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকেরা আসতে দেরি করায় বিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীরা স্কুলে প্রবেশ করে। পরে দপ্তরির কাছ থেকে চাবি নিয়ে তালা খুলে শ্রেণিকক্ষের ময়লা-আবর্জনা পবিষ্কার করে তারা। কয়েক দিন আগেই স্কুল পরিষ্কার করতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিলেও এমন অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককে।

corona in controlকরোনা প্রতিরোধ, প্রতীকী ছবি

কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে আসলেও আসেননি কোনো শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির দপ্তরি মিজানুর রহমান আসেন সাড়ে ১০টায়। তিনি বলেন, স্যারেরা মাঝেমাঝে না আসলে ক্লাস নিতে হয় তাকেই। তবে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ক্লাস হয়নি, স্যারেরাও আর আসেননি।

খবর পেয়ে সকাল ১১টার পর মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে আসেন প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন লাভলু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তিন সহকারী শিক্ষকও। সাখওয়াত হোসেন লাভলু বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা হওয়ায় নৌকায় করে পার হতে হয়। নৌকা ঘাটে আসতে দেরি করায় স্কুলে আসতেও দেরি হয়েছে। তাছাড়া প্রথম ক্লাস হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি, কাল থেকে ঠিক হয়ে যাবে।

বিষয়টি জেনেছেন উল্লেখ করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন সরকার বলেন, ঘটনা সত্য হলে বিদ্যালয় দুটির শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই ধরনের কথা বলেছেন জেলা প্রসাশক আবু জাফরও।