ভোটের আগেই জয়ী আ. লীগের ৪৩ প্রার্থী

দেশের ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর)। তবে তার আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলাতেই বিজয়ী হয়েছেন ৩৮ জন। এছাড়া সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন ভবন

২৮টি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের লড়তে হচ্ছে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। কারণ এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোষণা দিয়ে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় অন্তত ২৫ নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।

ধাপে ধাপে দেশের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ২১ জুন ভোট হয় ২০৪টি ইউপিতে। প্রথম ধাপে যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোর ভোট স্থগিত করা হয়েছিল, সেখান থেকে ১৬০টিতে ভোট হচ্ছে আগামীকাল সোমবার।

নির্বাচন কমিশনের লোগো

শুধু বাগেরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৮ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জেলার ৯টি উপজেলার ৬৬টি ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩৮টি বাদে বাকি ইউপিগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।

বেনজীর আহম্মেদ আরও বলেন, বাগেরহাট জেলার ৬৬টি ইউনিয়নে নারী ও পুরুষ মিলে ১০ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এবার বাগেরহাটের চারটি ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো ইভিএমে, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন, ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ইউপিগুলোতে ভোট হবে ব্যালটে।