মাদ্রাসায় গ্রন্থাগারিক-সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ প্রশ্নে রুল

বিভিন্ন পর্যায়ের মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রশ্নে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পদ দুটিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে উভয় পদে আবেদনকারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট, ফাইল ছবি

এ সংক্রান্ত একটি রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ রোববার এ রুল জারি করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। এতে শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তাদেরকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৯৪ জন আবেদনকারীর পক্ষে রিট আবেদন করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান আরিফ। দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ আটকে রাখা ত্রুটিপূর্ণ এবং নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে রিটটি দায়ের করা হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর।

আরিফুর রহমান আরিফ, ফাইল ছবি

এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে। রিটে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক সার্কুলারে এ দুটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দেয়া হলে স্ব স্ব মাদ্রাসার অধ্যক্ষগণ বিজ্ঞাপন দেন বিভিন্ন পত্রিকায়।

সে অনুযায়ী, উক্ত পদ দুটিতে অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন করে আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীরা। বিভিন্ন মাদ্রাসায় উভয় পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও চলতি বছরের ১৮ জুলাই কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশ নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবর্ত আনা হয়। পদ দুটি বাতিল করে একটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও থ্য বিজ্ঞান) এবং অপরটিকে নবসৃষ্ট গ্রন্থাগার প্রভাষক হিসেবে উল্লেখ করে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া উভয় পদে সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।