জাতিসংঘ অধিবেশন: সুহাইল শাহীন নাকি ইসাকজাই

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন চলছে। এ সম্মেলনে আফগানিস্তানের চূড়ান্ত বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর। যা কর্মসূচিতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু তালেবান সরকারের স্বীকৃতি না এলে সেক্ষেত্রে কি হবে?

সুহাইল শাহীন ও গোলাম ইসাকজাই

মিয়ামি হেরাল্ড বলছে, দেশটির আগের সরকারের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতই বক্তব্য দেবেন কি না- তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ তালেবান জাতিসংঘে তাদের নতুন প্রতিনিধি মনোনীত করেছে। অধিবেশন শুরুর আগেই জাতিসংঘে তালেবানের পক্ষ থেকে তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই আহ্বানে কোনো দেশ সাড়া দেবে কি না- সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। 

তবে স্বীকৃতির ব্যাপারে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মুখপাত্র মনিকা গ্রেলে বুধবার বলেছেন, কোনো দেশের স্বীকৃতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জাতিসংঘের আলাদা একটি কমিটি আছে। এ কমিটির উপর নির্ভর করছে তালেবান সরকার স্বীকৃতি পাবে কি না। কমিটির বৈঠক সাধারণত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যথাসময়ে আফগানিস্তানের ব্যাপারে একটি রায় জারি করা হবে।

চলমান জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন

এর আগে তালেবান জাতিসংঘকে চিঠি লিখে ঘোষণা করেছিল যে, সাবেক শান্তি আলোচক এবং তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন তাদের নতুন জাতিসংঘ প্রতিনিধি। তারা অনুরোধ করেছিল যে, শাহীনকে নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।

শাহীন এএফপিকে বলেন, সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় সবই রয়েছে। তাই আমরা জাতিসংঘের কাছে স্বীকৃতির আশা করি। একটি নিরপেক্ষ বিশ্ব সংস্থা হিসেবে আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

খবরে বলা হচ্ছে, ২৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ অধিবেশনে আফগানিস্তানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তালেবানের সরকারকে যদি স্বীকৃতি না দেয়া হয়, তাহলে পূর্ববর্তী সরকারের নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত গোলাম ইসাকজাই বক্তব্য দেবেন। ইসাকজাই আশরাফ ঘানি সরকারের নিযুক্ত প্রতিনিধি। তবে তালেবান তার পরিবর্তে সুহাইল শাহীনকে নিয়োগ দেয়ার আবেদন করেছে।

এ ক্ষেত্রে তালেবান যুক্তি দেখিয়েছে যে, আফগানিস্তানের দায়িত্বে এখন তারা রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করার অধিকার তাদের রয়েছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে তালেবান। কাবুলের পতনের পরই মার্কিন তাঁবেদার সরকারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ থেকে পালিয়ে যান।