গয়েশ্বর: সরকার হটাতে ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন!

টানা ১২ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। এই সরকারকে হটানোর এক দফা দাবিতে ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিষয়টি জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ফাইল ছবি

‘এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি’ স্লোগান দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এর মাঝখানে কোনো কথাবার্তার প্রয়োজন নাই। এই আন্দোলনে সবার আগে থাকব আমি, আমার পেছনে থাকবেন আপনারা। দীর্ঘকাল ভালো থাকতে, জনগণকে মুক্ত করতে চাইলে স্বল্প সময়ের মরণকামড় দিতে হবে।

সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সব দিলেও ভারতকে তুষ্ট করতে পারবেন না। তাদের দেয়া-দেয়ি বন্ধ করে এখন জনগণকে দেন। গত ১২ বছর ধরে ভ্যানিটি বেগে রাখা গণতন্ত্র খুলে দেন। ক্ষমতায় যেই আসুক, নির্বাচন দেন। নির্বাচনে আমি আসব, সরকারে থাকব না- এটুকু বলেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় পতাকা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গত করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে পাস করেন আর না করেন কিছু মানুষের ইতিবাচক প্রশংসা পাবেন। আগামীতে দেশে নিরাপদে আপনার রাজনীতি করার ক্ষেত্র হবে এটি।

এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদ। সংগঠনের সভাপতি ওসমান গণির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর এবার সাংগঠনিক বিভাগ ভিত্তিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা জানান, সবগুলো বৈঠকেই প্রায় সকল নেতা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বয়কটের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। অন্যদিকে, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামার কথা বলেছেন তারা।

আগামীতে দলটির সম্ভাব্য রাজনৈতিক কৌশল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি এবং ভবিষ্যতে করণীয় ঠিক করতে একের পর এক বৈঠক করা হচ্ছে। এরইমধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোতে দীর্ঘদিন পর নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা করেন নেতারা।