আফগানিস্তানে বোরকা পরা নারীদের মিছিল

গত মাসের মাঝামাঝি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তখনই থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো ও তাদের মিত্ররা আফগান নারীদের তথাকথিত নারী অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। যদিও নারীসহ সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান।

তালেবান শাসনের সমর্থনে আফগান নারীদের বোরকা পরে সমাবেশ

তবে ক্ষমতা গ্রহণের কিছু দিন পর তালেবান নিজেদের মন্ত্রিসভা গঠন করে তা ঘোষণা করে। সেখানে কোনো নারী প্রতিনিধি রাখেনি তালেবান নেতৃত্ব। তারা বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছে, নারীরা কোনো শীর্ষ পর্যায়ে নয় বরং অন্যান্য পদে দায়িত্ব পালন করবে। এর পর সমালোচনার মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

এ অবস্থায় কথিত নারী অধিকার রক্ষার দাবিতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ দেশটির আরও কিছু শহরে প্রায়ই বিক্ষোভ মিছিল করছেন কিছু নারী। তাদের এই বিক্ষোভের ছবি ফলাও করে প্রচার করছে আন্তর্জাতিক তথা পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। যেখানে তালেবানের অধীনে আফগানিস্তানে নারী অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

তালেবান শাসনের বিরোধিতা করে আফগান নারীদের বিক্ষোভ

এমনই প্রেক্ষাপটে তালেবানের সমর্থনে বোরকা পরে মিছিল করেছেন নারীরা। দেশটির বাদগিস প্রদেশের রাজধানী কালা নু শহরে একদল নারী মিছিল করেছেন বলে খবর দিয়েছে পার্সটুডে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে— বোরকায় আপাদমস্তক ঢেকে রাস্তায় নেমেছেন আফগান নারীরা।

খবরে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে বেশ কিছু আফগান শহরে তালেবানের সমর্থনে নারীরা সমাবেশও করেছেন। ওই সব সমাবেশে উল্লেখযোগ্য বোরকা পরা নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। তবে এসব মিছিল ও সমাবেশের খবর সেভাবে প্রচার পায়নি পশ্চিমা মিডিয়ায়। উল্টো পশ্চিমা গণমাধ্যম দাবি করেছে, বোরকা পরা অনেক নারী তাদের বলেছেন যে, তালেবান তাদের জোর করে এসব মিছিল ও সমাবেশে হাজির করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে আফগানিস্তানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। এর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে তালেবান। সেখানে কোনো নারী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। একই সঙ্গে দেশটির সাবেক সরকারের নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে তালেবান। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পাশাপাশি জরুরি সেবার ক্ষেত্রে কাজকর্মে অংশ নিচ্ছেন নারীরা। সকল ক্ষেত্রে তালেবানের শর্ত হলো পর্দা রক্ষা করতে হবে।