ফের মাঠে নামছেন আকরাম পাইলট সুজন দুর্জয়রা

লাল- সবুজ জার্সি গায়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘রেঁনেসার’ কারিগর তারা। কিন্তু বহুদিন দর্শকদের সুযোগ হয়নি তাদের খেলা দেখার। এই প্রজন্মের অনেক তরুণের কাছে আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, খালেদ মাসুদ পাইলট বা নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের ক্রিকেট কীর্তি অজানা। তবে তারা সুযোগ পাচ্ছেন আবার তাদের দেখতে।

মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল (এমসিসি) নামের একটি আসরে সাবেক ক্রিকেট তারকাদের আবার দেখা যাবে মাঠে। সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে তিন তারিখ পর্যন্ত সময়ে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। তিন তারিখের ফাইনালটি অবশ্য ঢাকায় হবে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে পারে কোনো একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেটে এমসিসিতে অংশগ্রহণ করছে মোট ছয়টি দল। দলগুলো হলো লঙ্কাবাংলা অল স্টার্স, ইসপাহানি চিটাগং মাস্টার্স, জেবি ঢাকা ডিভিশন, কনফিডেন্স গ্রুপ ঢাকা মেট্রো, জেমকন খুলনা ও রেঁনেসা রাজশাহী।

এই আসরে আবার দেখা যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক পথে পথচলা শুরু করার সময়ের মহাতারকাদের। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপিও থাকছেন এই আসরে। ১৯৯৮ সালের সেই বিখ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা দলের তারকারাও থাকবেন এই আসরে।

এই আসরের সহযোগী হিসেবে থাকছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ওয়ালটন। আজ বিসিবিতে এমসিসির শুরুর ঘোষণা দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন ও খালেদ মাসুদ পাইলটরা।

সাবেক এই তিন অধিনায়ক এমসিসি নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আকরাম খান বলেন, ‘এই আসরের মাধ্যমে আমরা সাবেক ক্রিকেটাররা আবার একসঙ্গে হতে পারবো। পুরো অনেক স্মৃতি আবার ফিরে আসবে। আমার মনে হয় এই ধরনের আসর বারবার হওয়া উচিত।’

খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘এই আসরের মাধ্যমে একটা ফান্ড গঠন করা হবে। যা সাবেক ক্রিকেটারদের কোনো বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।’

এমসিসি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি বলেন, ‘এমন একটি আসর নিঃসন্দেহে দারুণ উদ্যোগ। আমরা আবার একসঙ্গে খেলতে পারবো, এটা কখনো মনে হয়নি। কিন্তু এমসিসির মাধ্যমে ব্যাপারটা সত্য হলো।’

দেখে নিন কোন দলে কে

লঙ্কাবাংলা অল স্টার্স: রকিবুল হাসান (মেন্টর), সেলিম শাহেদ (অধিনায়ক) হাসিবুল হোসেন শান্ত,  এহসানুল হক সেজান, জাভেদ ওমর বেলিম, তালহা জুবায়ের, আজম ইকবাল, মাসুদুর রহমান মুকুল, আনিসুর রহমান সঞ্জয়, লাভলু রহমান, সৈয়দ আদিল আহমেদ, সোহেল হোসেন পাপ্পু, নিয়াজ মোর্শেদ নাহিদ, বাকি বিল্লাহ হিমেল, ফাহিম মুনতাসির সুমিত, মাহবুব আনাম।

ইস্পাহানি চট্টগ্রাম মাস্টার্স: আজহার হোসেন শান্ত (মেন্টর) আকরাম খান (অধিনায়ক), মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, এনামুল হক মনি, তারেক আজিজ খান, আফতাব আহমেদ, তৌহিদুল হোসেন শ্যামল. হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসন মনির, জুবায়ের ইসতিয়াক আহমেদ, ফজলে বারি খান রুবেল, নুরুল আবেদিন নোবেল, আফজাল খান, ফজলে হাসান খান, মীর আক্তার উদ্দিন আহমেদ।

কনফিডেন্স গ্রুপ ঢাকা মেট্রা মাস্টার্স: এএসএম ফারুক (মেন্টর), খালেদ মাহমুদ সুজন (অধিনায়ক) মো: রফিক, নিয়ামুর রশীদ রাহুল, নাসির আহমেদ নাসু, এ আই এম মনিরুজ্জামান, ইমরান পারভেজ রিপন, আনিসুল হাকিম রব্বানী,  ইকবাল হোসেন, ইমরান হামিদ পার্থ, মীর জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সাব্বির খান শাফিন, তানভির আহমেদ তিমির, আশফাক রহিম।

রেনেসা গ্রুপ রাজশাহী মাস্টার্স: শাহনেয়াজ কবির শানু (মেন্টর) খালেদ মাসুদ পাইলট (অধিনায়ক) আলমগীর কবির, রফিকুল ইসলাম খান, সাইফুল্লাহ খান জেম, হান্নান সরকার, আবদুল্লাহ খান বিপ্লব, তরিকুল ইসলাম, মোর্শেদ আলী খান সুমন,  গাজী আলমগীর, মুশফিকুর রহমান বাবু, জাহাঙ্গীর আলম,  শরিফুল হক প্লাবন…উমর শরিফ খান রওনক, আক্তার আহমেদ সিপার।

জেমকম গ্রুপ খুলনা মাস্টার্স: উমর খালিদ রুমি (মেন্টর) হাবিবুল বাশার সুমন (অধিনায়ক) মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসানুজ্জামান ঝড়ু, মো: সেলিম, জামাল বাবু,  মাহমুদুল হাসান রানা, ২ মুরাদ খান, ৩ আলী ইমরান রাজন হারুনুর রশীদ লিটন, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, তাসরিকুল ইসলাম টোটাম, মো: তৌহিদুল ইসলাম চপল, জিসান হাসিব মিজানুর রহমান পাটোয়ারী।

জেবি গ্রুপ ঢাকা মাস্টার্স: ইসতিয়াক আহমেদ (মেন্টর), নাইমুর রহমান দুর্জয় (অধিনায়ক), সানোয়ার হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, মেহরাব হোসেন অপি, সাইফুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম তাজ, শাহনেয়াজ কবির শুভ্র,  রাশেদুল হক সুমন, সাজ্জাদ কাদির, জাকির হাসান  দিপু রায় চৌধুরী, আনিসুর রহমান, জালাল ইউনুস, আবু হায়দার রিপন।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক নম্বরে পাকিস্তান

দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ

মিসবাহর ৩৪ বলে সেঞ্চুরি!

ভারতকে হটিয়ে এক নম্বর হওয়ার হাতছানি পাকিস্তানের

আরাফাত সানির পিতৃবিয়োগ