যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫০

ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিপরীতে গিয়ে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর দেশটির মজুদে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫০

নিউই্য়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় অবস্থানের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী স্টোরেজসহ মার্কিন অস্ত্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫০টি ছিল। যা এক বছর আগে ছিল ৩ হাজার ৮০৫টি এবং ২০১৮ সালে ছিল ৩ হাজার ৭৫৮টি। ২০০৩ সালের হিসেবে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের মোট পরিমাণ ১০ হাজারের উপরে ছিল। এটি ১৯৬৭ সালে ৩১ হাজার ২৫৫টিতে পৌঁছেছিল।

শেষবার মার্কিন সরকার পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা প্রকাশ করেছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। তখন বলা হয়েছিল, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্ত্রের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮২২টি। একই সংখ্যা ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকে। কিন্তু পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসন আপডেট করা সংখ্যা গোপন রাখে। পরে জানা যায়, অস্ত্রের সংখ্যা জানাতে ফেডারেশন অফ আমেরিকানের বিজ্ঞানীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৫০

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হ্যান্স ক্রিস্টেনসেন বাইডেন প্রশাসনকে স্বচ্ছতায় ফিরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন বিজ্ঞানীদের অনুরোধ মেনে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন বলেন, মজুদ সংখ্যা প্রকাশ করা মার্কিন কূটনীতিকদের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনায় এবং পরের বছর পারমাণবিক রোধ চুক্তি সম্মেলনে সহায়তা করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ চুক্তি স্বাক্ষরকারী পারমাণবিক শক্তির নিরস্ত্রীকরণ অঙ্গীকার পর্যালোচনা করবে।

খবরে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন পারমাণবিক অস্ত্রের ভঙ্গি এবং নীতি পর্যালোচনার বিষয়টি পরিচালনা করছে, যা আগামী বছরের প্রথম দিকে শেষ হওয়ার কথা।

গত ফেব্রুয়ারিতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা অপরিহার্য এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকি হ্রাস করা নৈতিক দায়িত্ব।