পরমাণু স্থাপনায় উৎপাদন ৩ গুণ বাড়ানোর ঘোষণা ইরানের

আলোচিত বুশেহর পরমাণু স্থাপনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ তিন গুণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রথমবারের শুক্রবার সশরীরে এই পরমাণু স্থাপনার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করার পর এ ঘোষণা দেন।

বুশেহর পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি

দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে ছিলেন দেশটির আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মাদ ইসলামি। ইরানের ঐতিহাসিক এই পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, যত বেশি সম্ভব পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে বেসামরিক কাজ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ইরান। এ ক্ষেত্রে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আণবিক শক্তি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইরানের বুশেহর পরমাণু স্থাপনা

প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত খাতে আশাব্যাঞ্জক অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তবে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং ইরানকে ভিয়েনা সংলাপে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে তখন বুশেহর পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শন করে এমন ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি।

জানা যায়, ২০১১ সালে বুশেহর পরমাণু স্থাপনার এক নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ওই সময় ইরানের জাতীয় গ্রিডে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের শেষ দিকে স্থাপনাটির দুই নম্বর ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।