লাদাখ ইস্যুতে উত্তেজনা: বৈঠকে চীন-ভারত

চীন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। পূর্ব লাদাখের গোগরা, হট স্প্রিং এলাকা থেকে চীনা সেনা সরানো হলেও ফের সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে বেইজিং। ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে এমনটাই জানিয়েছেন। এই অবস্থার মধ্যেই চীন ও ভারতের মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। রোববার চুসুল-মলডো সীমান্তে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ১৩তম বৈঠকে বসলেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। উভয় দেশই এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে।

চীন ও ভারতের মধ্যে ১৩তম কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক

ভারতের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীন সেনাবাহিনী পাহাড়ি ফিঙ্গার এলাকা ও গোগরার কাছে এখনও সক্রিয়। অস্ত্রশস্ত্রও মজুত করে রাখা হয়েছে। চীনা সেনারা নতুন করে সীমা লঙ্ঘন করে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যে হামলা চালাতে পারে, সে ধরনের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিতে পারছে না দিল্লি। এমনই প্রেক্ষাপটে রোববার ১৩তম সীমান্ত বৈঠক শুরু করেছে চীন ও ভারত। এর আগে গত ৩১ জুলাই শেষবার বৈঠকে বসেছিল চীন-ভারত।

ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ভারত ও চীন সামরিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। কিন্তু তারপরও সীমান্ত সমস্যার সমাধানে এসে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। উল্টো সীমান্ত থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়ে শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে যে আলোচনা হয়েছিল, চীনের পক্ষ থেকেই সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে। নতুন করে আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করেছে বেইজিং।

চীন ও ভারতের মধ্যে ১৩তম কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক

এর ফলে লাদাখ সীমান্তে রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তথা এলএসি-তে কীভাবে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায় সেই উপায় নিয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই সীমান্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাপ্রধানই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, প্যাঙ্গং থেকে সেনা সরানো হলেও পূর্ব লাদাখের সবকটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে চীন এখনও সেনা সরায়নি। তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তখনই দুই দেশই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আসতে পারবে যখন উভয়ের মধ্যে বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করা হবে। দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে কোনো ধরনের আগ্রাসন সহ্য করবে না ভারত। চীন আগ্রাসনের চেষ্টা করলে ভারতও তার উপযুক্ত জবাব দেবে।