দুর্নীতির অভিযোগে চ্যান্সেলরের পদত্যাগ

দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের আপাতত এ দায়িত্ব সামলাবেন। কুর্জ দাবি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন।

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ

কুর্জ বলেন, ব্যক্তির চেয়ে আমার দেশ আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেশের জন্য প্রয়োজন স্থিতিশীল অবস্থা। তাই বিশৃঙ্খলা রোধ এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমি পদত্যাগ করেছি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস বেশ কয়েকটি অভিযোগে কুর্জ ও তার দলের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। যা সরকারের মধ্যে সংকটের সৃষ্টি করেছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কুর্জ বলেন, এগুলো (অভিযোগ) ২০১৬ সাল থেকে করা হচ্ছে। এগুলো ভুল, আমরা শিগগিরই পরিষ্কারভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেব।

সমস্যায় পড়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ, ফাইল ছবি

গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের কারণে সরকারের মধ্য সংকট দেখা দেয়। এর ফলে জোটের অংশীদার হিসেবে গ্রিনস চ্যান্সেলর পদে কুর্জকে অযোগ্য বলে দাবি করে।

আগামী মঙ্গলবার কুর্জকে পার্লামেন্টের একটি বিশেষ অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হবে। চ্যান্সেলরের দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও পিপলস পার্টির (ওভিপি) নেতা এবং পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন কুর্জ। বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিনস নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ার্নার কগলার কুর্জের এ পদত্যাগকে ভবিষ্যতের সরকারি কাজের জন্য সঠিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কনজারভেটিভ পিপলস পার্টির প্রধান নির্বাচিত হন সেবাস্তিয়ান কুর্জ। ওই বছরই ৩১ বছর বয়সে বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে তার দল।

কুর্জ একাই নন, তাঁর ৯ সহযোগীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।