আফগানিস্তানে তরুণদের নিয়োগ দিচ্ছে আইএস

আফগানিস্তানে নতুন করে জনশক্তি নিয়োগ দিচ্ছে আইএস-কে। দেশটির উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলে সশস্ত্র গ্রুপটি তার অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। আফগানিস্তান প্রতিনিধি পরিষদের প্রতিরক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মীর হায়ার আফজালির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বুলগেরিয়ান মিলিটারি ডটকম।

তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস, সাম্প্রতিক ছবি

আফজালি টুইটারে লিখেছেন, অতীতে আফগান বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আইএস-কের সবচেয়ে বিপজ্জনক সদস্যরা এখন কারাগার থেকে মুক্ত। গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য তারা আফগান তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছে। এর আগে কিছু আফগান বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছিলেন, তালেবানের হাতে আফগানিস্তান দখল হয়ে যাওয়ার পর শত শত আইএস কর্মীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আফজালির মতে, ইসলামিক স্টেটের সামনে এখন উন্নত অস্ত্র কিংবা অনুকূল পরিস্থিতি নেই। কিন্তু তার মতে, ভবিষ্যতে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে। মনে হচ্ছে, আফগানিস্তানে চরমপন্থার প্রকল্প এখনও শেষ হয়ে যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে বেড়েছে আইএসের তৎপরতা

খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বালখ প্রদেশের আন্দরাব উপত্যকায় শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, সকালে তালেবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তালেবান বিরোধী জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের সদস্যরা। আফজালি বলছেন, বর্তমানে আন্দরাবে তালেবান এবং জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের মধ্যে একটি মারাত্মক যুদ্ধ চলমান। উভয় পক্ষেরই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, হতাহতের সঠিক সংখ্যা অজানা।

সূত্রটি বলছে, বাগলান প্রদেশের পুলি-হিসার এবং দিহ-সালাহ জেলায় তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৬০ জনেরও বেশি তালেবান হতাহত হয়েছে। প্রতিরোধ ফ্রন্টের দুই কমান্ডার নিহত হয়েছে। তবে তালেবান এখনও এই সংঘর্ষে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, তালেবান যোদ্ধাদের ইউনিটগুলো অন্দরাব উপত্যকার দিকে যাচ্ছে।

এদিকে তালেবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইটারে ঘোষণা করেছে, আতাউলা ওমারি মাজার-ই-শরিফ কোরের কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছেন। বাহিনীর সদর দপ্তর করা হয়েছে বালখ প্রদেশের কেন্দ্র মাজার-ই-শরিফের শহরতলীতে আফগান জাতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক ২০৯তম কোরের শাহিন ঘাঁটিতে।