প্যান্ডোরা পেপারস কেলেঙ্কারি: ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তানের আদালত

প্যান্ডোরা ও পানামা পেপারসের তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বিদেশি কোম্পানিতে টাকা পাচার বা কোনো অপরাধ করেছেন কিনা তা তদন্ত করছে পাকিস্তানের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়টি অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

উচ্চ আদালতে দায়ের করা একটি পিটিশনে পানামা পেপারস ও প্যান্ডোরা পেপারসে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার আবেদন করা হয়। তারা বিদেশি কোম্পানিতে অবৈধ উপায়ে টাকা পাঠিয়েছে কিনা তা রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে তথ্যপ্রমাণসহ ব্যাখা চাওয়া হয়।

যে সকল পাকিস্তানি নাগরিক তাদের বিদেশি সম্পদের হিসাব দিতে পারেনি রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে তিনমাসের মধ্যে সেগুলো ‘ফ্রিজ’ করা উচিত বলে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব পাকিস্তানের (টিআইপি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আদিল গিলানির পক্ষে অ্যাডভোকেট হাশমত হাবিব এই পিটিশন দাখিল করেন।

পিটিশন দাখিলকারী মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান ক্ষমতায় আসার আগে ৪ এপ্রিল ২০১৮ সালে ঘোষিত ‘বিদেশি সম্পদ (ঘোষণাপত্র ও প্রত্যাবাসন) আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী কর ক্ষমা প্রকল্প প্রত্যাহার করেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে করপ্রদানকারীদের শাস্তি দেওয়া হয় এবং দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পায়।’

পিটিশনে বলা হয়, কর মওকুফ প্রকল্প পিআইএ, এসএসজিসিএল, পিকিউএ ইত্যাদি পাবলিক সেক্টর প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, তাদের স্বামী বা স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের জন্য প্রযোজ্য ছিল না। পাকিস্তান থেকে প্রেরিত রেমিটেন্স স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) মাধ্যমে না পাঠানোকে আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়।

২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাজস্ব বোর্ড তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আসাদ উমরের দাবী অনুসারে পানামা পেপারসে নাম থাকা ৪৪৪ পাকিস্তানির মধ্যে কমপক্ষে ২৯৪ জনকে নোটিশ জারি করেছিল। কিন্তু সে বিষয়ে কিছুই কার্যকর হয়নি বলে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়।

সূত্র: দ্য ডন