বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

শিগগিরই জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর, জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি। আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার আবদুস সাত্তার। এর আগে একই স্বীকৃতি পেয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম।

ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

ফজলি আম ও বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সনদ দেয়ার কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুটি পণ্যের মধ্যে ফজলি আমের জিআই সনদের জন্য ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র এবং বাগদা চিংড়ির জন্য মৎস্য অধিদপ্তর আবেদন করেছিল।

নিয়ম অনুযায়ী, কৃষিপণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক যাচাইয়ের জন্য দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ নিয়ে কেউ আপত্তি না করায় স্বীকৃতির সনদ দেয়া হচ্ছে। যদিও ফজলি আম প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং বাগদা চিংড়ি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চাষ হয়।

জিআই সনদ

এর আগে বাংলাদেশের মোট ৯টি পণ্য জিআই সনদ পেয়েছে। সেগুলো হলো- পদ্মার ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও কালীজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি ও নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

এখন নতুন করে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি জিআই সনদ পাওয়ার পর বিদেশে এগুলোর দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। জিআই ট্যাগ ব্র্যান্ডিং হিসেবে কাজ করায় এর সুবিধা পাবে দেশের ব্যবসায়ীরা, বলছেন আবদুস সাত্তার।