মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে মাইলফলক

প্রথমবারের মতো মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে সফল হয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। কিডনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ধরনের মাইলফলক। যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীর দেহে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং সেটি বর্তমানে স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে।

মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে মাইলফলক

কিডনি প্রতিস্থাপনের পর এখন পর্যন্ত কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, এই অস্ত্রোপচার চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বড় মাইল ফলক হয়ে থাকবে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনবিসি এবং লাইভ সায়েন্স এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিডনি এখন প্রতিস্থাপন করা হলেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বেশ আগেই। এর অংশ হিসেবে প্রথমে তারা শূকরের একটি জিন বদলে দিয়েছিলেন। পরে পরিবর্তিত সেই জিন দিয়ে নতুন শূকরের জন্ম দেন তারা এবং সেটিকে বড় করে তোলেন। দ্বিতীয় ওই শূকরের কিডনিই মানবদেহে প্রতিস্থাপন করার পর দেখা যায় যে, স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছে সেটি।

মানবদেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনে মাইলফলক

খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে যে নারীর দেহে এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তিনি আগে থেকেই ব্রেন ডেড ছিলেন। তার কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ অবস্থায় তার পরিবারের অনুমতি সাপেক্ষেই শূকরের এই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে কিডনিটি বাইরে রেখে ওই নারীর রক্তনালীর সঙ্গে সংযুক্ত করে দেন। এরপর ৩ দিন তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক দশক ধরে এই চিকিৎসকরা প্রাণীর দেহ থেকে মানবদেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছিলেন। এতদিন তারা এটা নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলেন যে, তাৎক্ষণিকভাবে মানবদেহ যাতে প্রতিস্থাপিত অঙ্গ প্রত্যাখ্যান না করে। অবশেষে তারা তাদের প্রচেষ্টাকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হলেন।