ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল, কাটা হচ্ছে ১০ হাজার গাছ

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত, ভাঙ্গা ও দুর্বল হয়ে পড়া ১০ হাজার গাছ অপসারণ করা হচ্ছে। রাজ্যের সেকুইয়া ও কিংস ক্যানিয়ন জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, গাছগুলো জেনারেলস হাইওয়েতে যেকোনো সময় পথচারী কিংবা চলাচলকারী গাড়ির ওপর ভেঙ্গে পড়তে পারে। দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলো পুনরায় দাবানল দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে বাধা হতে পারে। এনটিডির খবর।

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে

খবরে বলা হচ্ছে, কেএনপি কমপ্লেক্স এলাকার বনে ১৩৮ বর্গমাইলজুড়ে আগুন লাগার কারণে মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানের শীতল আবহাওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেছে। আজ রোববার, ২৪ অক্টোবর থেকে এলাকায় বৃষ্টি দেখা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মহাসড়কটি বিশাল দুই বনাঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে। এ এলাকায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাছ জেনারেল শেরম্যান ট্রির আদি স্থান। দমকলের মুখপাত্র কিম্বার্লি ক্যাশাল্ক বলছেন, হাইওয়ের পাশে সিকোইয়াস, পাইন এবং কনিফার গাছ রয়েছে। কেএনপি কমপ্লেক্স এলাকার বন গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে জ্বলছে। দুটি বজ্রপাতের ঘটনায় বনে আগুন লাগে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল

বন কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত বিশালকার সেকুইয়া মারা যেতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি। সিকোইয়া গাছ আগুনের তীব্রতায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেঁচে থাকার মতো রয়েছে। অপেক্ষাকৃত বড় গাছগুলো বেঁচে আছে।

দমকলকর্মীরা কিছু বিশাল সিকোইয়া গাছের গোড়ার চারপাশে আগুন-প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তারা গাছগুলোর চারপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করে পানি দিয়ে গাছগুলো ভিজিয়ে দেন। এরপর গত শুক্রবার আগুনের তীব্রতা কমে যাওয়ার পর জেনারেল শেরম্যান গাছের গোড়া থেকে প্রতিরোধী ব্যবস্থা খুলে ফেলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট খরা-দাবানল পরিবেশকে কঠিন করে তুলছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন গত ৩০ বছরে পশ্চিমা বিশ্বকে অনেক বেশি উষ্ণ ও শুষ্ক করে তুলেছে। এর মানে দাবানলের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঝড়-বৃষ্টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে অনেকটা সহায়তা করেছে।