খামেনি: ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়া আরব দেশগুলো পাপী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি বলেছেন, যেসব আরব দেশ ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে তারা পাপ করেছে। তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি

২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়। কারণ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে ওয়াশিংটন আরব-ইসরায়েল সম্পর্ককে একটি বৈদেশিক নীতি হিসেবে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।

ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে খামেনি বলেন, কিছু সরকার দুর্ভাগ্যবশত ভুল করেছে। দখলদার ও নিপীড়ক ইহুদিবাদী শাসনের সঙ্গে যারা একত্মতা ঘোষণা করেছে তারা পাপ করেছে। এটা ইসলামী ঐক্যবিরোধী কাজ। তাদের অবশ্যই এই পথ থেকে ফিরে আসতে হবে এবং এই বড় ভুলের মাশুল দিতে হবে।

ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরান চার দশকে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শক্তিশালী রক্ষক হিসেবে নিজেকে দাঁড় করেছে। দেশটি নিয়মিত ইহুদি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার হুমকি দেয়। ইসরায়েলের সঙ্গে এর আগে শুধু মিশর ও জর্ডানের স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল।

খামেনি বলেন, যদি মুসলমানদের ঐক্য অর্জিত হয়, তাহলে অবশ্যই ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হবে সর্বোত্তম উপায়ে। মে মাসে খামেনি বলেছিলেন, ইসরায়েল কোনো দেশ নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটি।

এদিকে খামেনির বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলী শামখানি বলেছেন, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলা করলে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে। তবে ইসরায়েল এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে সম্ভাব্য হামলার জন্য সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত করতে ১.৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করা হয়েছে।

ইরান বারবার ইসরায়েলকে তার পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে নাশকতার জন্য দায়ী করে আসছে। ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওার চেষ্টা মধ্যেও দুই দেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে যাচ্ছে।