৩০ বছর ধরে নবীজির মসজিদকে সাজাচ্ছেন তিনি

পেশায় ছিলেন ইলেক্ট্রিশিয়ান। সৌদি আরবের রিয়াদের একটি দোকানে কাজ করতেন তিনি। একদিন সন্ধান পান ‘হারাম বেস্ট ক্যালিগ্রাফার’ নামক প্রতিযোগিতার। এতে অংশ নিয়ে পাল্টে যায় তার জীবন। প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি আঁকার জন্য নির্বাচিত হন তিনি।

৩০ বছর ধরে মসজিদে নববির ক্যালিওগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন শফিক উজ জামান

সেই থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত পবিত্র কুরআনের আয়াতের ক্যালিওগ্রাফিতে সাজাচ্ছেন রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজ হাতে গড়া মসজিদ মসজিদে নববিকে। পাকিস্তানের সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তির নাম ওস্তাদ শফিক উজ জামান।

মসজিদে নববির ১৭৭টি স্তম্ভের ক্যালিগ্রাফি করেছেন তিনি। এ ছাড়া মসজিদটির বিভিন্ন স্থানে থাকা অধিকাংশ ক্যালিগ্রাফিই শফিক উজ জামানের হাতে অলংকৃত। মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি করার কারণে বিশ্বব্যাপী তিনি পেয়েছেন সম্মান, খ্যাতি ও ভালোবাসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য ছাত্র তার কাছে শিখেছেন আরবি ক্যালিগ্রাফি। সে কারণে তার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ওস্তাদ বিশেষণটি।

মসজিদে নববি ও শফিক উজ জামান

শফিক উজ জামান জানান, সুন্দর আরবি লেখা ও আরবিতে সুস্পষ্ট কথা বলার জন্য সৌদি আরবের বাসিন্দারাও তাকে সৌদি নাগরিক মনে করতো। যখনই তারা শোনেন, শফিক পাকিস্তানের নাগরিক তখনই তারা চমকে যান।

জীবনের এ দীর্ঘ সময় মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি আঁকার মধ্যে অতিবাহিত করতে পেরে শফিক উজ জামান নিজেকে গর্বিত মনে করেন। এমনকি নিজেকে দুনিয়ার সেরা সুখী মানুষও ভাবেন তিনি।

মসজিদে নববির ক্যালিগ্রাফি করে শান্তি ও সুখ দুটিই পেয়েছেন দাবি করেন তিনি বলেন, আমি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের (সা.) ঘরে কুরআনের আয়াত এঁকে সুখ ও আনন্দ অনুভব করি। আমি তাদের সন্তুষ্ট করতে আমৃত্যু এ কাজ চালিয়ে যাবো।