চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ‘হুমকিতে’ যুক্তরাষ্ট্র!

করোনাকালে সম্প্রতি গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে কমিউনিস্ট শাসিত চীন। এর ফলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসেছে এশিয়ার পরাশক্তি এই দেশটি। বিষয়টি পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সবশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন মার্কিন সিনিয়র এক জেনারেল। দেশটির সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল জন হাইটেন বলছেন, চীনা সামরিক বাহিনী ‘অত্যাশ্চর্য’ গতিতে এগুচ্ছে। এটি আগামীতে অবশ্যই ওয়াশিংটনের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলার সময় বর্তমানে রাশিয়া মাথাব্যথার কারণ বলে উল্লেখ করেছেন জেনারেল জন হাইটেন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়নে ‘নিষ্ঠুর আমলাতন্ত্র’ বাধা দিচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিফেন্স রাইটার্স গ্রুপের এক বৈঠকে এসব কথা বলেন হাইটেন।

জেনারেল জন হাইটেন, ফাইল ছবি

চীনকে ‘পেসিং থ্রেট’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এখনই পরিবর্তন আনা না গেলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবার ক্ষমতা অর্জন করবে বেইজিং ও মস্কো। এটি কেবল ওয়াশিংটনের জন্যই নয়, মিত্রদেশগুলোর জন্যও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। একমাত্র সবাই একসঙ্গে কাজ করলে খেলা ঘুরে যেতে পারে, ভালো থাকা সম্ভব।

মার্কিন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার সপ্তাহখানেক পর এমন মন্তব্য করলেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় জেনারেল হাইটেন। তার এই মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন। আগামী মাসে অবসর নিতে যাওয়া হাইটেন তার উত্তরসূরিকে ‘চীনা গতির’ ওপর কড়া নজর রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এবং আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের সঙ্গে চাপা উত্তেজনার মধ্যেই হাইপারসনিক পরীক্ষা চালায় চীন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, এটি পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। যদিও এ বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত আগস্ট মাসে যে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে, তা আসলে একটি মহাকাশযান, ক্ষেপণাস্ত্র নয়।