‘ধরণীকে বাঁচাতে’ রোমে বিশ্ব নেতাদের তোড়জোড়

কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন সামনে রেখে ইতালির রোমে আলোচনার জন্য জড়ো হচ্ছেন জি-২০ নেতারা। মানুষ, গ্রহ ও সমৃদ্ধি এই তিন বিষয়কে ফোকাস পয়েন্টে রেখে আলোচনায় বসছেন তারা। জোটের অধিকাংশ দেশই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে এই গ্রহ উষ্ণায়নের ‘জনক’ হিসাবে খ্যাত।

রোমে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন

সেই জোটই রোববার অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনে কী বিষয়ে কথা বলবেন কিংবা কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করবেন। এরই মধ্যে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছেন তারা। এসব নিয়েই ইতালির নেতৃত্বে রোমে শনিবার আলোচনায় বসছেন এ নেতারা। এ উদ্দেশ্যে শুক্রবারই জড়ো হন বেশির ভাগ নেতা।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইউ, যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে জি-২০ জোট। বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের আনুমানিক ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী ব্রাজিল, চীন, ভারত, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমাতে এ দেশগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও। সে কারণেই গ্লাসগোতে হতে যাওয়া কপ-২৬ এর আগে এবারের জি-২০ সম্মেলনের দিকে অনেকেই প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন।

রোমে শুরু হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন

ইতোমধ্যেই রোমে পৌঁছে গেছেন মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন মোদি।

এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতি বছর দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দিতে ধনী দেশগুলোর জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। সম্মেলনপূর্ব জি-২০’র খসড়ায় জানানো হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেবেন তারা।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দূষণকারীরা বলছে, তারা ২০৫০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে পারবেন না। যেহেতু চীন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী, এ লক্ষ্যকে ২০৬০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে হতে পারে। খসড়ায় তারা ২০২৫ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকি যৌক্তিক ও পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রধান অপরাধী হিসেবে বিবেচিত কয়লা শক্তিকে প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তারা।