‘ধূসর তালিকায়’ তুরস্ক, পাকিস্তানের অবস্থান আরো নাজুক হওয়ার শঙ্কা

জাতিসংঘের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) পর্যবেক্ষণ তালিকার হালনাগাদ সংস্করণে এবারো নাম রয়ে গেছে পাকিস্তানের। ধূসর তালিকায় এবার তুরস্কেরও নাম উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছর সংস্থাটির তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান আরো অবনমন হবে।

‘ধূসর তালিকায়’ তুরস্ক, পাকিস্তানের অবস্থান আরো নাজুক হওয়ার শঙ্কা

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়নবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন এফএটিএফের প্রেসিডেন্ট ড. মার্কাস প্লেয়ার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখার সিদ্ধান্ত একক কোনো দেশের নয়, বরং তা সর্বসম্মতভাবে নেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এমন তথ্যযুক্ত প্রতিবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।

প্যারিসভিত্তিক সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট প্লেয়ার আরো বলেছেন, ‘এফএটিএফ একটি প্রায়োগিক সংস্থা। আমরা সর্বসম্মতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এফএটিএফের ৩৯টি জুরিসডিকশন রয়েছে এবং পাকিস্তানকে নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তও সর্বসম্মতিক্রমে নেয়া হয়েছে।’

ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের বা এফএটিএফ

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকার ফ্রান্স থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলো। কারণ জনসম্মুখে বোরখা নিষিদ্ধ করায় ফ্রান্সকে আক্রমনাত্মক মন্তব্য করেছিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া তথ্যানুযায়ী এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকায়’ তুরস্কেরও নাম রয়েছে। সবমিলিয়ে এই তালিকায় দুই ডজনেরও বেশি দেশের নাম রয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বেশ জোরালো ছিলো, কিন্তু তুরস্ককে ধূসর তালিকাভুক্ত করার ফলে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন হারিয়েছে।

এফএটিএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এফএটিএফে পাকিস্তানের একমাত্র অবিচল সমর্থক ছিলো চীন ও মঙ্গোলিয়া। পাকিস্তান যদি তৃতীয় আর কোনো দেশের সমর্থন পেতে সক্ষম না হয় তাহলে কালো তালিকা এড়ানো দেশটির জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের এফএটিএফের প্রতিবেদনে পাকিস্তান এই ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে।’

বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফএটিএফের কালো তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হলে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা ও নগদ অর্থসংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। পাকিস্তানের এক দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালো তালিকায় নাম উঠলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ বহির্বিশ্ব থেকে পাকিস্তান যে অর্থসহায়তা পাচ্ছে তা বন্ধ হয়ে যাবে।