বিশ্ব খাদ্য সংস্থার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ইলন মাস্ক!

বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারিতে এ সমস্যা ব্যাপক আকারে বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএফপি) এর পরিচালক ডেভিড বিজলি বলেন, বিশ্বজুড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে। তাদের সাহায্যে ৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। যদি অনতিবিলম্বে সাহায্য নিয়ে তাদের কাছে পৌঁছানো না যায়, তাহলে যেকোনো সময় তারা মৃত্যুমুখে পতিত হবে।

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত মাস্ক

এক বিবৃতিতে বিজলি বলেন, ইলন মাস্কের মতো বিলিওনিয়ারদের বিপুল সম্পদের মাত্র দুই শতাংশ, অর্থাৎ ছয় বিলিয়ন ডলার পেলেই প্রায় ৪২ মিলিয়ন মানুষের খাদ্যসংস্থান করা সম্ভব। বিশ্বের বিপুল খাদ্যসমস্যার বেশ খানিকটা সমাধান এ টাকা দিয়েই করা যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষের ক্ষুধা মেটাতে এই সামান্য পরিমাণ টাকা দেওয়া তাদের মতো মানুষের কাছে কোনো ব্যাপারই নয়।

তার এ বিবৃতির পর বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বুঝতে পেরে অপর এক টুইটে বিজলি লেখেন, আমরা কখনো বলিনি ছয় বিলিয়ন ডলার বিশ্বের খাদ্যসমস্যার সমাধান করে ফেলবে। তবে ৪২ মিলিয়ন মানুষের ক্ষুধা মেটানোর জন্য এটি এককালীন অনুদান হিসেবে কাজে লাগতে পারে।

ডেভিড বিজলি ও ইলন মাস্ক

২০২০ সালে ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের সাহায্যে ১১৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্যসমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছিল। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বে খাদ্যসংকট মেটাতে এই মুহূর্তে ছয় বিলিয়নেরও বেশি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। তাই এই সহজসরল হিসাবে অযথা ভুল বোঝাবুঝির কোনো কারণ নেই। এরপরও যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সরাসরি এলন মাস্ক আমার সাথে বোঝাপড়া করে নিতে পারে।

এ বিবৃতির জবাবে ইলন মাস্ক টুইট করেন, যদি ডব্লিউএফপি এই টুইটার থ্রেডে প্রমাণ করতে পারে যে ৬ বিলিয়ন ডলার আসলেই বৈশ্বিক ক্ষুধা মিটবে, তাহলে আমি এক্ষুণি টেসলার শেয়ার বিক্রি করে ওই পরিমাণ অর্থ দান করে দেবো।

আরেকটি টুইটে এরসাথে আরেকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন মাস্ক। তিনি উল্লেখ করেন, জনসমক্ষে ডব্লিউএফপিকে ধরে ধরে বলতে হবে, তারা কোন খাতে ঠিক কত টাকা খরচ করে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী ইলন মাস্কের বর্তমান নিট সম্পদের পরিমাণ ৩১ হাজার ১০০ কোটি ডলার।