তাইওয়ানকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দেবে চীন

চীনের হস্তক্ষেপ থেকে তাইওয়ানকে পুরোপুরি মুক্ত করার চেষ্টা করছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের দল। এ লক্ষ্যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বারস্থ হয়েছেন। এসব রাজনীতিককে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ আখ্যায়িত করে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দিতে শুরু করেছে বেইজিং।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

এ নিয়ে আজ শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান। এতে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং চেং, স্পিকার ইউ শিয়ি কুন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উয়োউয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই তিন রাজনীতিক চীনের সীমানা থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা চীন-তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছেন। এই অপরাধের জন্য তিন রাজনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তারা চীন, হংকং ও ম্যাকাও যেতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও চীনের পতাকা

তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ তালিকা তৈরি করার কথা জানিয়ে বলা হয়, তালিকায় যেসব রাজনীতিকের নাম রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কী কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি বিবৃতিতে।

এএফপি জানায়, বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপে ভীত নন জানিয়ে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং চেং বলেছেন, চীন অন্যায়ভাবে তাইওয়ানকে দখলে রেখেছে। এটি আবারো প্রমাণ হয়েছে দেশটির সাম্প্রতিক পদক্ষেপে।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইংওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে কোনো ভুল সংকেত পাঠানো উচিত নয় ইইউর। ইউরোপের উচিত নিজেদের ভুল সংশোধন করে নেয়া।

তার আগের দিন বুধবার চীনা সকল হুমকি থেকে তাইওয়ানকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সক্ষম বলে মন্তব্য করেন দেশটির জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। তবে এবারই প্রথম তাইপেকে রক্ষার বিষয়ে এ ধরনের বাগাড়ম্বর করল না ওয়াশিংটন।

প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দাবি করে আসছে চীন। অপরদিকে, তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম হিসেবে দাবি করে আসছে। এ অবস্থায় তাইওয়ানের পক্ষ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা তাইওয়ানকে কূটনৈতিকসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে চীনও।