টিকা বর্জনের স্বাধীনতার দাবিতে নিউজিল্যান্ডে বিক্ষোভ

করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ-বর্জনের স্বাধীনতা চাইছেন নিউজিল্যান্ডবাসী। হাজার হাজার মানুষ এই দাবিতে পথে নেমেছেন। পরিস্থিতি দেখে সতর্কতা হিসেবে পার্লামেন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ডবাসীর কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকায় কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।

করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডে বিক্ষোভ

অন্যান্য দেশের মতো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েক দফায় লকডাউনসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। গত মাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন জানিয়ে দিয়েছেন, দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ততদিন পর্যন্ত সব ধরনের কড়াকড়ি অব্যাহত রাখবে প্রশাসন।

প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির একটি অংশ। তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন। দাবি করছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। তাই শিগগিরই নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

আর কোনো লকডাউন চায় না নিউজিল্যান্ডের জনগণ

তাদের দাবি, টিকা প্রদানের বিষয়টিকে আবশ্যিক করা যাবে না। বিক্ষোভকারীরা ‘স্বাধীনতা’, ‘কিউইরা গিনিপিগ নয়’ -এ জাতীয় স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে দাবি করছে, সরকার সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। সেই সঙ্গে টিকাকরণ সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করে নেয়া হোক।

পার্লামেন্টের বাইরে উপস্থিত এক বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমাকে জোর করা যাবে না। জোর করে আমার শরীরে এমন কিছু ঢোকানো যাবে না, যা আমি চাই না। সরকারের কাছে আমার দাবি, স্বাধীনতা ফেরত চাই।

অবশ্য বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডে এখনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে করোনা মহামারি। এখন পর্যন্ত সে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৮ হাজার মানুষ। মারা গেছে ৩২ জন। এরই মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।