দিল্লিতে ‘দূষণ লকডাউন’ জারি, বন্ধ স্কুল-অফিস

ভয়াবহ বায়ু দূষণের কবলে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটি চলতি বছরের সবচেয়ে দূষিত দিন পার করেছে গত ৫ নভেম্বর। দ্য এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৪৫১ স্পর্শ করায় নিঃশ্বাস নেয়া অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে পড়েছে দিল্লিতে, যা শনিবার ছিল ৪২৭- এ।

দিল্লিতে ‘দূষণ লকডাউন’ জারি

সরকারি সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার এক সপ্তাহের জন্য দিল্লিতে ‌‌‘দূষণ লকডাউন’ জারির কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর ফলে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে শহরটির সব স্কুল। ওই সময় অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া দিল্লি শহরের সব ধরনের নির্মাকাজ বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মীরাও বাসায় বসে অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। বিষাক্ত বাতাসে আকাশ ভারী হয়ে উঠায় দিনেও অন্ধকার দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাময়িক এই বিধিনিষেধ জারির কথা বলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বায়ুদূষণের প্রধান দুই কারণ

এর আগে শনিবার দিল্লির বায়ুদূষণ ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদী জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ৪ স্তরের কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা করে দিল্লির রাজ্য সরকার।

চলতি শীত মৌসুম বিবেচনায় গত সপ্তাহে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলি উৎসবে আতশবাজি ফোটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেটি না মানায় আতশবাজির ধোঁয়ায় ঢেকে যায় দিল্লির আকাশ। এ ছাড়া এই সময়ে দিল্লির প্রতিবেশী পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে ফসল তোলার পর অবশিষ্ট অংশ পুড়িয়ে থাকেন কৃষকরা।

এনডিটিভি জানায়, সরকারি তথ্য মতেই এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিল্লির বায়ুমান সূচক, একিউআই ছিল ৪২৭। ৪০০-এর ওপরে উঠলেই ‘গুরুতর’ বা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ কার্ডিওভাসকুলার এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগ হতে পারে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই চলমান জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা বলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০৭০ সাল নাগাদ কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার কথা দেশটির।