আফগান সংকটে বৈশ্বিক ঐক্য চান পাক সেনাপ্রধান

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ইসলামাবাদে ট্রোইকা প্লাস বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার বিশেষ প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেছেন। তিনি তাদের সঙ্গে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় তিনি আফগানিস্তানের সংকট মোকাবেলায় বৈশ্বিক ঐক্যের ওপর জোর দেন। খামা প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আফগান বিষয়ক মার্কিন প্রতিনিধির সঙ্গে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের, আইএসপিআর, এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাজওয়া রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টারে আলাদাভাবে প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং জানাচ্ছে, সেনাপ্রধান তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ এবং আফগানিস্তানে মানবিক সংকট রোধে বৈশ্বিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ইসলামাবাদ ত্রোইকা প্লাস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা মিলিত হন। অংশগ্রহণকারীরা সর্বসম্মতভাবে তালেবানকে আফগাস্তিানের মাটি থেকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে কাজ করার অনুমতি না দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা চান তালেবান দেশটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করুক।

সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তালেবান প্রতিনিধি দল

আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫৭০ কিলেমিটাবার বা ১ হাজার ৬০০ মাইল। প্রতিবেশী দেশ দুটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক অংশীদার। অসংখ্য সাংস্কৃতিক, জাতিগত এবং ধর্মীয় সংযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে। সাবেক আফগান নেতা হামিদ কারজাই একবার দুই দেশকে ‌'অবিভাজ্য ভাই' বলে বর্ণনা করেছিলেন। আফগানিস্তান ইসলামাবাদের সাথে তাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একতাবদ্ধ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার বার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার জন্য দোষারোপ করে আসছে। কিন্তু পাকস্তিান তা অস্বীকার করে আসছে শুরু থেকেই। চলতি বছরের ১৫ আগস্ট তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানই সবচেয়ে আনুকূল্য দেখিয়েছে তালেবানের প্রতি।