বাংলাদেশেও তৈরি হবে ফাইজারের করোনা পিল

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ কোম্পানি মের্কের করোনা পিল মলনুপিরাভিরের পর কোভিড-১৯ পিল বাজারে আনছে ফাইজার। ইতোমধ্যে মেডিসিন জায়ান্ট ফাইজার এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাভ করেছে এবং চলতি মাসের শুরুর দিকেই তারা এটি বাজারে আনার ঘোষণা দেয়।

ফাইজারের করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড

করোনা মোকাবেলায় ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে মনে করা হয়। এবার ফাইজার যে পিল আনছে সেটিও মলনুপিরাভিরের চেয়ে বেশি কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে। অপরদিকে, মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের কোভিড পিল নিয়ে একটি সুসংবাদও রয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, বিশ্বের ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে তৈরি হবে ফাইজারের মুখে খাওয়ার এই করোনার ওষুধ। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের বাংলাদেশও। ফাইজারের প্যাক্সলোভিড জেনেরিক ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন নামে একই ওষুধ উৎপাদন করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।

খবরে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ফাইজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাতিসংঘ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক পেটেন্ট সংস্থা মেডিসিন পেটেন্ট পুল বা এমপিপির এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯৫টি দেশে করোনা প্রতিরোধী মুখে খাওয়া এই ওষুধটি উৎপাদিত হবে।

এ বিষয়ে এমপিপির নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর এক সাক্ষাৎকারে চুক্তি সম্পর্কে বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর মহামারির বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে আরও একটি হাতিয়ার আমাদের হাতে চলে এসেছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।

তিনি জানান, চুক্তিতে যে ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেসব দেশেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৫৩ ভাগ বাস করে। স্বাভাবিকভাবেই করোনার পিল যদি এই সব দেশে প্রস্তুত শুরু হয়, তাহলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে ফাইজারের শীর্ষ নির্বাহী আলবার্ট বৌরলা বলেন, আমাদের মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড বিশ্বজুড়ে মহামারির ভয়াবহতা নিরসনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমরাদের বিশ্বাস। একই সঙ্গে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এই ওষুধটির মাধ্যমে উপকৃত হতে যাচ্ছেন।