মাঠে খেলেন ১১ জন। মাঠের বাইরে থেকে তাদের পরিচালনা করেন একজন। তিনি কোচ। একটি ক্লাব বা দলের সাফল্য-ব্যর্থতার পুরোটাই যেন নির্ভর করে ডাগ আউটে থাকা ভদ্রলোকের ওপর। সফল হলে বিজয়ের মালা, ব্যর্থ হলে বলির পাঁঠা। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে ফুটবলীয় এই রীতি।

5 current managersযারা কখনও চাকরি হারাননি

অনেক নামিদামি কোচ বরখাস্ত হয়েছেন। এই প্রজন্মের কয়েকজন কোচ অবশ্য আছেন যারা কখনও চাকরি হারাননি। দেখে নেওয়া যাক ওইসব কোচকে।

দিদিয়ের দেশাম: ১৯৯৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতেছেন দেশাম। ২০১৮ সালে কোচের ভূমিকায় দেশকে উপহার দেন আরেকটি সোনালি ট্রফি। ২০০১ সালে মোনাকোর কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন দেশাম। পাঁচ বছর পর তিনি যোগ দেন জুভেন্টাসে। সেখানে এক মৌসুম কাটিয়ে দুই বছরের সাময়িক নির্বাসনে যান তিনি।

zidane and deschampsজিদানের সাথে দিদিয়ের দেশাম

২০০৯ সালে অলিম্পিক মার্শেইর কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন এই কিংবদন্তি। ২০১২ সালে ফ্রান্সের কোচ হন তিনি। এখানে প্রায় নয় বছর কেটে গেছে। তিনটি বড় ক্লাব ও ফ্রান্সের মতো দলকে দুই দশক কোচিং করিয়ে কখনো বরখাস্ত হতে হয়নি ৫৩ বছর বয়সী এই কোচকে।

জিনেদিন জিদান: ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন জিদান। দেশামের কাঁধে হাত রেখে তিনিও ফরাসিদের স্বপ্নপূরণ করেন। তবে কোচ হিসেবে জিদানের অধ্যায় শুরু হয়েছে একটু দেরিতে। ২০১৬ সালে রিয়াল মাদ্রিদ মূল দলের কোচ হন তিনি। মাদ্রিদে প্রথম অধ্যায়ে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও একটি লা লিগাসহ ১১ টি ট্রফি জেতেন জিজু।

এরপর অভিমান করেই সরে দাঁড়ান এই কিংবদন্তি। ২০১৯ সালে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের অনুরোধে আবারো ফিরে আসেন প্রিয় ভুবনে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে অবশ্য উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি জিদান। ব্যর্থতার দায় নিয়ে গত মৌসুমে ফের সরে দাঁড়ান তিনি। এই মুহূর্তে বেকার আছেন ফরাসি কোচ। তাকে চাইছে ইউরোপের অনেক বড়বড় ক্লাব।

ডিয়েগো সিমন: ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার ছয়টি ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেছেন সিমন। ১০ বছর আগে তাকে নিয়ে আসে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর্জেন্টাইন কোচের ছোঁয়াতেই বদলে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। তার অধীনে লা লিগায় রিয়াল-বার্সার আধিপত্য শেষ হয়। ২০১৩-১৪ ও ২০২০-২১ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতে সিমনের দল। সিমন স্পেনের ক্লাবটিকে উপহার দেন দুটি ইউরোপা লিগ।

atletico madrid boss diego simeoneডিয়েগো সিমন

সবমিলিয়ে এই ক্লাবটিকে আটটি শিরোপা জেতান তিনি। সবচেয়ে হতাশার হচ্ছে, দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেললেও দলকে ইউরোপ সেরার মুকুট পরাতে পারেননি সিমন। তাকে অনেক ক্লাবই চায়। কিন্তু সিমন নাছোড়বান্দা মাদ্রিদ ছেড়ে যেতে চাইছেন না। দেড় দশকের এই কোচিং ক্যারিয়ারে সাতটি ক্লাবের দায়িত্ব পালন করলেও তাকে কখনো চাকরি হারাতে হয়নি। সিমন ঠিকানা পাল্টেছেন নিজের মতো করেই।

ইয়ুর্গেন ক্লপ: তার হাত ধরেই বায়ার্ন মিউনিখের বুন্দেসলিগা আধিপত্য শেষ হয়েছিল। ২০১০-১১ ও ২০১১-১২ মৌসুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড লিগ জেতান ক্লপ। ২০১২-১৩ মৌসুমে দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিয়ে গেছেন তিনি। যদিও হারতে হয় বায়ার্নের কাছে। ডর্টমুন্ডে আসার আগে মেইঞ্জের দায়িত্ব পালন করেছেন ক্লাব। এই ক্লাবে আট বছর কাটিয়েছেন তিনি। এরপর সাত বছর ডর্টমুন্ডে।

jurgen klopp and pep guardiola mainইয়ুর্গেন ক্লপ এবং পেপ গার্দিওলা

২০১৫ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের ডাগ আউটে দাঁড়ান জার্মান এই কোচ। তার ছোঁয়াতেই পুনর্জন্ম হয় লিভারপুলের। ৩০ বছর পর অল রেডরা জেতে ইংলিশ লিগ শিরোপা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে লিভারপুলকে ইউরোপ সেরার মুকুটও পরান তিনি। ক্লপের দারুণ রণ কৌশলে উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে লিভারপুল। পেশাদার ফুটবল কোচিং ক্যারিয়ারে ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও কখনও চাকরি হারাননি এই মাস্টারক্লাস।

পেপ গার্দিওলা: একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে সফল কোচ গার্দিওলা। কোচ হিসেবে ৩০টি ট্রফি জিতেছে তিনি। ২০০৮ সালে বার্সেলোনা মূল দলের দায়িত্ব নেন স্প্যানিশ কোচ। চার বছরের অধ্যায়ে কাতালানদের ১৪টি শিরোপা উপহার দেন গার্দিওলা। এরপর বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে আরো সাতটি ট্রফি জেতেন তিনি।

২০১৬ সালে ইংলিশ ফুটবলে পাড়ি জমান গার্দিওলা। কোচ হন ম্যানচেস্টার সিটির। সিটিজেনদের এ পর্যন্ত দশটি শিরোপা জেতার গার্দিওলা। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলেও তাদের হতাশ করে চেলসি। প্রায় ১৩ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে কখনো চাকরি খুঁজতে হয়নি তাকে। বরং চাকরি খুঁজে নিয়েছে তাকে।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.