ব্রিটেনও হামাসকে নিষিদ্ধ করল

ফিলিস্তিনের সর্ববৃহৎ ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন, হামাসকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করল যুক্তরাজ্যও। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। এর আগে হামাসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র।

হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ফাইল ছবি

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিতে বলা হয়, সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সক্ষমতা এবং অতীত এমন কর্মকাণ্ডের রেকর্ড রয়েছে হামাসের। এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রশিক্ষণ দেয়া এবং পর্যাপ্ত আধুনিক অস্ত্র মজুতের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাতে হামাসকে নিষিদ্ধ সংগঠন ঘোষণা করা হলো।

এখন থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দেশের ভেতরে হামাসের প্রতি সমর্থনের প্রচার, তাদের পতাকা ওড়ানো বা সভা-সমিতির আয়োজন করলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে, উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফাইল ছবি

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষস্থানীয় নেতা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েলি ব্ল্যাকমেইলিং ও কলকাঠিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এর মাধ্যমে দেশটি তেল আবিবের দখলদারিত্বের প্রতি পূর্ণ পক্ষপাতিত্ব দেখালো।

এদিকে, ব্রিটিশ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলছেন, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, জঙ্গি তৎপরতা চালানো ছাড়া আর কিছু জানে না তারা। এই সিদ্ধান্ত উভয় দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করবে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।

এর আগে ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধকারী হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জ আল দিন আল কাসাম ব্রিগেডকে নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাজ্য। এবার সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখাকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্মদাতা খ্যাত ব্রিটিশ সরকার।

১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হামাস ফিলিস্তিনের সবশেষ সাধাণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সরকার পরিচালনা করতে দেয়নি পশ্চিমারা। পরে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠনটি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। এর জন্য প্রায়ই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে হামাস।