মুরাদের কর্মকাণ্ডে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ আইনমন্ত্রী

সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উনার যে কর্মকাণ্ড তাতে আমি সত্যিই গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। আজ বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

রাজধানীর গুলশানে নিজের আবাসিক অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি যে— ভবিষ্যতে কেউ, কোনো সংসদ সদস্য নয়, কেউই যার বিবেক আছে সে এ রকম কাজ করবে না।

মুরাদ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখনো তো তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হননি। উনার ডিস্ট্রিক্ট (জেলা) থেকে মনে হয় একটি সুপারিশ এসেছে, সেই সুপারিশের বিষয়ে কেন্দ্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর যদি এটার কোনো আইনি জটিলতা থেকে থাকে বা আইনের কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে, তখন আমি জবাব দিতে রাজি আছি। কিন্তু এখন আমি আগেভাগেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু উনার যে কর্মকাণ্ড তাতে আমি সত্যিই গভীরভাবে ক্ষুব্ধ।

ডা. মো. মুরাদ হাসান, ফাইল ছবি

আবরার ফাহাদ হত্যার প্রকৃত ও ন্যায়বিচার করা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আপাতদৃষ্টিতে এ রায়ের মাধ্যমে প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচার হয়েছে। আমরা প্রসিকিউশন টিম এবং বিচার বিভাগের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয়েছে যে, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বা অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না কিংবা রাজনীতি করতে পারবে না।

মন্ত্রী আরো বলেন, এমন কিছু মামলা থাকে, যা সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এসব মামলা নিষ্পত্তি করা সরকারের দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজকে আশ্বস্ত করা যে, আইনের শাসন দেশে বিরাজমান। সেই দায়িত্ব পালনে এখন পর্যন্ত সফল শেখ হাসিনার সরকার।

প্রসঙ্গত, এর আগে আজ বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, দুপুরে দেশব্যাপী আলোচিত ও ন্যাক্কারজনক এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন আনিসুল হক। বলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যে সুপারিশ করেছেন, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে ওই পদ্ধতিতে অন্য কোনো দেশে মুক্তি দেওয়ার নজির আছে কি না। অচিরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।