দেশবাসীকে সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে দেশের সব বিভাগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিকেএসপি এবং প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক অনূর্ধ্ব-১৭ ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের কয়েকটি খণ্ডচিত্র

এরইমধ্যে নতুন দুটি বিকেএসপির অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাকিগুলোও পর্যায়ক্রমে বিকেএসপির অনুমোদন দেয়া হবে। ছেলে-মেয়েদের ভালো প্রশিক্ষণের জন্য এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের সঠিক বিকাশে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা খুবই প্রয়োজন।

রাজধানীর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের রোল মডেল, কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে চাই না আমরা। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চায় সম্পৃক্ত রাখা গেলে বিপথে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সুস্থভাবে পড়াশোনা ও খেলাধুলার মাধ্যমে মানুষের মতো মানুষ হবে তারা। সে জন্য স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের সময়েও খেলাধুলার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা, ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন, ফিফার সদস্যপদ লাভ, ১৯৭৪ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেন তিনি।

সপরিবারে বঙ্গবন্ধু জীবন দেয়ার পর ২১ বছর দেশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খেলাধুলায় গুরুত্ব দেয়। ২০১৮ সালে খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, বিজ্ঞান শিক্ষা, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে প্রশিক্ষণে দৃষ্টি দেয় সরকার।

বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা অনূর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনালে ১-০ গোলে ময়মনসিংহ বিভাগকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয় রংপুর বিভাগ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক অনূর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনালে রাজশাহী বিভাগকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে সিলেট বিভাগ।

সিলেটের অনিক দেব বর্মণ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় এবং আসাদ উদ্দিন ম্যান অব দি ফাইনাল নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান যৌথভাবে সিলেটের অনিক দেব বর্মণ ও রাজশাহীর হাবিবুর রহমান। টুর্নামেন্টে রংপুরের নাসরিন সেরা খেলোয়াড় ও শাম্মী আখতার ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতেন রংপুরের নাসরিন ও খুলনার সন্ধ্যা।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ী ও বিজিত দলের সদস্যদের হাতে ট্রফি ও মেডেল তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের করোনাকালীন বিশেষ অনুদানের চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন ও ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।