আপনি পড়ছেন

বিদেশি কর্মী বা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করে রেখেছিল মালয়েশিয়া। করোনা মহামারির মধ্যেই সেটি আবার শিগগিরই খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি। এখানেই শেষ নয়, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে থাকা অনেক দেশকে এক লাফে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

bangladeshi workerবাংলাদেশি কর্মী, ফাইল ছবি

গতকাল শনিবার ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানায়, অনেক দেশকে প্রথমবারের মতো পেছনে ফেলে একচেটিয়া অগ্রাধিকার পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। এ ছাড়া আগের কিছু নিয়ম বদলে শ্রমিকবান্ধব নতুন আইন করায় দেশটির শ্রমবাজারে আধিপত্য পেতে পারে বাংলাদেশিরা।

আগেকার চেয়ে এবারে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকে বেশকিছু পরিবর্তন আসছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জিটুজি প্লাস পদ্ধতি না থাকা, মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত হওয়া, কর্মীদের বাধ্যতামূলক বিমা সুবিধা, নিয়োগদাতার কর্মীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করা, চুক্তি মেয়াদে কর্মীদের দায়িত্ব দেয়া, ১৮-৪৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা ইত্যাদি।

bangladesh malaysiaবাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পতাকা

এসব নতুনত্বকে বিদেশি কর্মীবান্ধব হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা প্রবাসীদের টানতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করা হয়। তবে মালয়েশিয়ায় যেতে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কত হবে, তা স্মারক সইয়ের পর জানা যাবে। এটি সই হতে পারে চলতি মাসের ১৬ বা ১৭ তারিখ।

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। গত ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে বিষয়টি জানান দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান। ওই দিন সকালে সমঝোতা স্মারক অনুমোদন দেয় দেশটির মন্ত্রিসভা, তুলে নেয়া হয় ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জারি করা নিষেধাজ্ঞাও।

সারাভানানের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর পরপরই বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ শুরু হবে মালয়েশিয়ায়। কৃষি, উৎপাদন, বৃক্ষরোপণ, সেবা, খনি, খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।