আপনি পড়ছেন

আফগানিস্তানের ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কের টার্গেটে পাকিস্তানও রয়েছে। সশস্ত্র সংগঠনটি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয় দেশে তাদের অভিযান পরিচালনা করে। সংগঠনটির সদস্যরা প্রাথমিকভাবে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, আফগান তালেবান এবং ইসলামিক মুভমেন্টের সাবেক সদস্যদের নিয়ে গঠিত। সন্ত্রাসবাদের ওপর সবশেষ মার্কিন প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দ্য ডন।

isiskpআইএস-কে সদস্যদের প্রশিক্ষণ

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আইএস-কের এখনও প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা রয়েছে যারা আফগানিস্তান থেকে কাজ করে। গ্রুপটির কার্যক্রমের ক্ষেত্রগুলো আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত রোববার ইসলামাবাদে ওআইসি সভার ভাষণে বলেন, আইএস-কে পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য তাদের আফগান সেল ব্যবহার করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই অবশ্য আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করছে বলে সম্পূর্ণ উল্টো অভিযোগ করেছেন।

মার্কিন প্রতিবেদনে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন করে বলা হয়, আইএস-কে আফগানিস্তানে অবস্থিত। যদিও এটি পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকা থেকে জঙ্গিদের নিয়োগ করে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, আইএস-কে তার মূল সংগঠন আইএস থেকে কিছু অর্থায়ন পায়। অতিরিক্ত তহবিল অবৈধ অপরাধমূলক বাণিজ্য, কর এবং চাঁদাবাজি থেকে আসে।

আইএস-কে-এর নেতৃত্ব নিহত আইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদির প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছিল ২০১৫ সালে। গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানে বেসামরিক ও আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ছোট অস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। পাকিস্তানে বেসামরিক নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তারা।

মার্কিন প্রতিবেদনে আইএস-কে-এর কার্যকলাপের বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলা চালানোর সময় গোষ্ঠীটি পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে পার্থক্য করে না। এটি নিয়মিতভাবে উভয় দেশের বেসামরিক নাগরিক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং এমনকি স্কুল ও উপাসনালয়কে লক্ষ্যবস্তু করে।

২০১৬ সালে আইএস-কে আফগানিস্তানের পাকিস্তানি কনস্যুলেটে হামলা করে সাত আফগান নিরাপত্তা কর্মীকে হত্যা করে। কাবুলে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বোমা হামলায় আনুমানিক ৮০ জন নিহত হয়। এছাড়া বেলুচিস্তানের একটি মাজারে তাদের বোমা হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।

২০১৭ সালে জঙ্গি সংগঠনটি কাবুলে ইরাকি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে। পশ্চিম আফগানিস্তানের একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয় ২৯ জন। কাবুলের একটি শিয়া পাড়ায় দুবার আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সংগঠনটি, যেখানে ২০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। সিন্ধুতে একটি সুফি মাজারে হামলায় ৮৮ জন ও বেলুচিস্তানে একটি নির্বাচনী সমাবেশে হামলায় ১৪৯ জন নিহত হয়।

২০১৯ সালে আইএস-কে কাবুলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে হামলার দায় স্বীকার করে, যাতে সাতজন নিহত হয়। গোষ্ঠীটি সেই বছর কাবুলে একটি বিবাহ হলে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করে, যাতে ৮০ জন নিহত হয়। বছরের শেষের দিকে আইএস-কে নানগারহারের একটি মসজিদে বোমা হামলা করে ৭০ জনকে হত্যা করে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালে আইএস উপদলটি বেশ কয়েকটি বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল এবং আইএসবিরোধী কোয়ালিশন এবং তালেবান বাহিনী উভয়ের আক্রমণের মুখে নানগারহারে সংগঠনটি বেশিরভাগ অঞ্চল হারিয়েছিল।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.