আপনি পড়ছেন

দেশের তরুণদের প্রতি আবেগঘন এক নিবেদন জানিয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয় আলোচক ও গবেষক মাওলানা আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, মানব-স্বভাবের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হচ্ছে আবেগ, যা না থাকাটা মানবিক ত্রুটি। সে কারণে আবেগের যথার্থ ও পরিমিত ব্যবহার করতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে যথেচ্ছ ব্যবহার।

maulana ahmadullahমাওলানা আহমাদুল্লাহ, ফাইল ছবি

মানবিক আবেগ-অনুভূতি তাড়িত হয়ে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজ ও মহৎ কাজ করে থাকে। আবার সাময়িক আবেগের বশে বড় ভুলও করে বসে মানুষ। পরবর্তীতে সেই ভুলের খেসারত দিতে হয়। অসময়ে অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আবেগ ব্যবহার করলে বিপথগামী হতে হয়, বলেন মাওলানা আহমাদুল্লাহ।

এসব কারণে ‘প্রিয় তরুণ ও যুবকদের’ প্রতি একান্ত নিবেদন করে তিনি বলেন, মূল্যবান এই আবেগ ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। আবেগের বশবর্তী নয়, আবেগ তাড়িত হবেন। শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ, বয়োজ্যেষ্ঠ, মুত্তাকি ও আল্লাহভীরুদের পরামর্শ নেবেন।

maulana ahmadullah 1মাওলানা আহমাদুল্লাহ, ফাইল ছবি

আবেগ ‘সফট ড্রিংকসের’ মতো হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি উবে যায় বলে মন্তব্য করে মাওলানা আহমাদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে অবৈধ ভালোবাসায় তরুণ-যুবকদের এই আবেগের অনেকটাই ব্যয় হচ্ছে। অভিজ্ঞতা বলছে, বিয়ের আগে অবৈধ প্রেমে বেশি কাতর হলে বিয়ের পর স্ত্রীর প্রতি আবেগ ধারণ করা সেভাবে হয় না। এভাবে হারামের মোহ হালালের আগ্রহ, স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয় তরুণ-যুবকরা।

সে কারণে শুভার্থী হিসেবে বৈধ ভালোবাসার জন্য অন্তরের আবেগ জমিয়ে রাখার আহ্বান রেখে তিনি আরো বলেন, এই আবেগ যার পাওয়ার অধিকার, তার জন্য এটি করতে হবে। আবেগ-প্রেম অপাত্রে অপচয় করলে যথার্থ পাত্রে ব্যয়ের জন্য অবশিষ্ট থাকবে না।

বর্তমান সময়ের দাম্পত্য কলহের মূল কারণ হিসেবে ‘প্রেমহীনতা’কে চিহ্নিত করে মাওলানা আহমাদুল্লাহ বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস ও আস্থার অনুপস্থিতি দেখা দিলে প্রতিটি সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার ক্ষেত্রে যে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে, তার জন্য অনেকাংশে দায়ী বিবাহ-পূর্ব প্রেম।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর