আপনি পড়ছেন

ইসলাম ধর্মে কুরবানি একটি গুরূত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। যে ব্যক্তির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানি করলো না তাকে কঠিন ভাষায় ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

eid ul azha

কুরবানি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানি কর।’ (সূরা কাওসার, আয়াত নং ২)

অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘বল, আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই উদ্দেশ্যে। তাঁর কোন শরীক নাই এবং আমি এর জন্য আদিষ্ট হয়েছি আর আমিই প্রথম মুসলিম।’ (সূরা আনআম, আয়াত নং ১৬২-১৬৩)

অন্যান্য ইবাদতের মতো কুরবানিও মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম একটি উপায়। কুরবানি একটি ইবাদত। সেই হযরত ইবরাহিম (আ.) এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত কুরবানি চালু রয়েছে।

কুরবানির মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ‘বারা ইবনে আযিব রাদি আল্লাহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের পর কুরবানির পশু জবেহ করল তার কুরবানি পরিপূর্ণ হল ও সে মুসলিমদের আদর্শ সঠিকভাবে পালন করল।’ (বুখারি শরিফ – ৫৫৪৫, মুসলিম শরিফ – ১৯৬১)

কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ কারও কাছে পুরো বছর থাকা আবশ্যক নয়। বরং কুরবানীর তিন দিন অর্থাৎ ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত এর মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।

অন্য এক হাদিসে এসেছে, হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু সে কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (আত-তারগিব ওয়া আত-তারহিবঃ ২/১৫৫)

সামর্থ্যবান ব্যক্তির সংজ্ঞাও ইসলামি শরীয়াতে দেয়া হয়েছে। ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে যে ব্যক্তি ‘নেসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক হবেন, তাঁর ওপরেই কুরবানি ওয়াজিব হবে।

উল্লেখ্য, এই নেসাব পরিমাণ সম্পদ তাঁর কাছে এক বছর থাকা ওয়াজিব নয়। বরং কুরবানির তিন দিনের মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানি ওয়াজিব হবে। (রদ্দুল মুহতারঃ ৬/৩১২)

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর