তাজরিন ও রানা প্লাজার পর টঙ্গীতেই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা

২০১২ সালের নভেম্বরে আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশন এবং পরের বছর এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে সবচেয়ে ভয়াবহ দুটি ঘটনা। ওই দুটি ঘটনার কথা এখনো ভুলতে পারেননি অনেকে। এর মধ্যেই আজ টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টসে বয়লার বিস্ফোরণে মারা গেলেন ২৬ জন।

তাজরিনের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান অন্তত ১২৪ জন পোশাক শ্রমিক। রানা প্লাজায় ঘটে আরো ভয়াবহ ঘটনা। মারা যান এক হাজারের বেশি মানুষ।

আজ সকাল ছয়টায় টঙ্গীর পাঁচতলা বিশিষ্ট গার্মেন্টসের বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বেশ কয়েকজন। আহতদের দ্রুত নেয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থল এবং টঙ্গীর হাসাপাতালে মারা যান মোট ১৭ জন। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা যান আরো চার জন। এরপর বিকেল চারটা নাগাদ আরো একজনের মৃত্যুর খবর আসে।

২৬ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন অন্তত আরো ৫০ জন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এ দিকে বিস্ফোরণের পরপরই ফয়েল- পেপার এবং কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ রাখা ভবনটিতে লেগে যায় আগুন। ভবনটি ধসে পড়ে এক দিকে। আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে লোকজনকে সরিয়েও নেয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। ভবনের ভিতরে আরো মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। কারখানাটির মালিকপক্ষ বলছে, তারা আহতদের চিকিৎসার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ঈদের মাত্র তিনদিন আগে এমন ঘটনায় টঙ্গীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

আপনি আরো পড়তে পারেন

টঙ্গীতে বয়লার বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১

মিয়ানমার থেকে আসছে কুরবানির পশু

টঙ্গীতে কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১২

ট্রেনের ছাদে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে আহত অর্ধশত

প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ টাকা, খাসি ২০