আপনি পড়ছেন

আগামী বছর, ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কীভাবে হবে, সেটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। আজ বৃহস্পতিবার এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ssc exam 2এসএসসি পরীক্ষা, ফাইল ছবি

সম্ভব হলে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একেবারেই সম্ভব না হলে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি। বাকিটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে ৮ মাস পরে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা শুরু হয় গত ১৪ নভেম্বর, শেষ হয় ২৩ নভেম্বর। এ বছর সময় ও নম্বর কমিয়ে গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসব বিষয়ে আগের জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বর নিয়ে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বরপত্র তৈরি করা হয়েছে।

dipu moni education minister 3শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ফাইল ছবি

একই অনুষ্ঠানে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে স্কুলগুলো চালু রাখা সম্ভব হবে না হয়তো। সে জন্য অনলাইন শিক্ষা প্রত্যেক ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতিটা নিতে হবে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতেই হবে। কারণ সংক্রমণ কখনো বাড়ে, কখনো কমে।

এ ছাড়া আগামী ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, আমাদের দক্ষতা ও প্রায়োগিক জ্ঞান নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করবে সরকার। ইতোমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা পলিটেকনিক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রকাশিত ফল থেকে দেখা যায়, এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে পাসের হার ৯৩.৫৮। অবশ্য ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.০৮।

এদিন সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন বছরে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এর আগের বছর ধাপে ধাপে বিতরণ করা হয় ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি বই।