পালিয়ে যাওয়ার কাহিনী বললেন আশরাফ ঘানি

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার প্রায় চার মাস পর পালিয়ে যাওয়ার সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি জানান, তালেবান কাছাকাছি চলে আসায় বছরের শুরুতেই তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু কাবুলের ধ্বংস রোধ করতে তিনি সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিলেন। খবর এএফপি।

আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি

এমনকি ১৫ আগস্ট ঘুম থেকে উঠে তিনি কোনো আভাস পাননি, এটিই হতে পারে তার আফগানিস্তানের শেষ দিন। শুধু যখন তার বিমান কাবুল ছেড়েছিল তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি পালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানের অতিথিপর্বে আমন্ত্রিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সব আফগানকে তালেবানের ভয়াবহ তোপের মুখে ফেলে আশরাফ ঘানির দেশত্যাগ প্রবলভাবে সমালোচিত ও অভিযুক্ত হয়। তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। ঘানি যুক্তরাজ্যের সাবেক চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল স্যার নিক কার্টারের সঙ্গে কথোপকথনে ওসব মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে স্মৃতি হাতড়ানোর ঢঙে ঘানি জানান, তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশ না করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ২ ঘণ্টা পর দেখা গেল, উল্টো ঘটনা। তিনি বলেন, তালেবানের দুটি ভিন্ন দল দুটি ভিন্ন দিক থেকে আমাদের ঘিরে ফেলছিল। আমি ভাবলাম, না পালালে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হবে এবং শহরের ৫০ লাখ লোক ধ্বংস হবে।

অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং স্ত্রীকে কাবুল ছেড়ে যেতে দিতে রাজি হন, তারপর তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়ে যেতে একটি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু গাড়ি আসেনি।

এর পরিবর্তে প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রধান আতঙ্কিত হয়ে এসে বলেছিলেন, আমরা যদি আর বেশিক্ষণ এখানে থাকি, তবে আমাদের সবাইকে হত্যা করা হবে।

ঘানি বলেন, তিনি আমাকে দুই মিনিটও সময় দেননি। ছুটলাম তার সঙ্গে। জানতাম না কোথায় যাচ্ছি। আমরা যখন টেক অফ করলাম, তখনই এটা পরিষ্কার হয়ে গেল, আমরা দেশ ছাড়ছি।