আপনি পড়ছেন

মুসলিম উম্মাহর জন্য আনন্দের দিন হলো ঈদ। বছরে দুইটি দিন ঈদ হিসেবে পায় মুসলমানরা। এর একটি হলো ঈদ-উল-ফিতর, আর অন্যটি ঈদ-উল-আজহা। দুই ঈদের দিন সকালেই বেশকিছু সুন্নত রয়েছে। ঈদভেদে দুই-একটি পার্থক্য ছাড়া দুই ঈদের সকালের পালনীয় সুন্নতে খুব বেশি একটা পার্থক্য নেই।

eid ul fitr

ঈদ-উল-আজহার দিন সকালের সুন্নত হলো, গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন।

ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করার পর সুগন্ধি ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। তবে সুগন্ধি ব্যবহার করা মোস্তাহাব। এছাড়া ঈদের দিন ভালো পোশাক পরিধানের কথা উল্লেখ আছে। তারমানে এই নয় যে, পোশাকটি নতুন হতে হবে। বরং নিজের কাছে থাকা পোশাকের মধ্য হতে ভালোটা বেছে নিয়ে পরাটাই উত্তম।

ঈদ-উল-আজহার দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে কিছু না খেয়ে বরং পশু জবেহর পর কুরবানির মাংস দিয়ে খাওয়াটাই সুন্নত। হজরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে না খেয়ে বের হতেন না, আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে খেতেন না। নামাজ থেকে ফিরে এসে কোরবানির গোশত খেতেন।

সব ঈদেই ঈদগাহে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন পথ ব্যবহার করার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি ঈদগাহে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথ ভিন্ন আর কোনো পথ না থাকে তাহলে যাওয়া ও আসার সময় রাস্তার ডান পাশ ব্যবহার করা উচিৎ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটাই করতেন বলে বর্ণিত আছে।

এছাড়া ঈদের দিন সকালের আরেকটি সুন্নত হলো, তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহে যাওয়া। ওই সময় জোরে জোরে তাকবির পাঠের কথা বলা হয়েছে। আবার তাকবির পাঠ করতে করতেই ঈদগাহ থেকে বাসায় ফেরা।

সবশেষে ঈদের নামাজ আদায়ের পর নিজের এবং জীবিত-মৃত সব মুসলমানের জন্য দোয়া করা উত্তম।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর