ওমিক্রন নিয়ে ‘স্বস্তির তথ্য’ দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনার ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বব্যাপী অজানা আতঙ্ক, সীমাহীন শঙ্কা ডালপালা মেলছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, করোনার মূল ভাইরাস ও আগের ভ্যারিয়েন্টেগুলোর চেয়ে ওমিক্রন কম প্রাণঘাতী ও মৃদু উপসর্গের।

ওমিক্রন ও ডব্লিউএইচও

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে আরো তথ্য-প্রমাণ হাজির করলো ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির ইনসিডেন্ট ম্যানেজার আবদি মাহমুদ জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন নিয়ে হওয়া গবেষণার তথ্য তাদের কাছে এসেছে। এর সঙ্গে নিজস্ব গবেষণা ও অনুসন্ধানের তথ্য-প্রমাণও মিলিয়ে দেখছেন তারা।

এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও নিশ্চিত হয়েছে যে, ওমিক্রন ফুসফুসে সহজে আক্রমণ করে না। বিস্তারের জন্য নাসারন্ধ্র ও শ্বাসনালী অঞ্চল বেছে নেয় এটি। নিউমোনিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেসব উপসর্গ প্রকাশ পায়, ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হলেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা যায়।

করোনা পরীক্ষা, ফাইল ছবি

অন্যদিকে করোনার মূল ভাইরাস ও অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলো নাসারন্ধ্র থেকে ফুসফুস পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। এ ছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে শ্বাসতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলে আগের ভাইরাসগুলো, বলছেন ডব্লিউএইচওর ইনসিডেন্ট ম্যানেজার আবদি মাহমুদ।

কম প্রাণঘাতী হলেও ওমিক্রন অতি সংক্রমণের কারণে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য বিস্তার করবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। গত বছরের ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় B.1.1.529 নামে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়, যা টিকা অকার্যকর করতে সক্ষম।

বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রনের উপস্থিতি ১৩০টির বেশি দেশে শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। বাকি দেশগুলোতেও শিগগিরই এটি পৌঁছে যেতে পারে বলে সতর্ক করে আসছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ফলে এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ জারির হিড়িক পড়ে গেছে দেশে দেশে।