তালেবানের হাতে ৮১টি সামরিক প্লেন-কপ্টার, ৪০টিই নষ্ট

ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আগের সরকারের আমলে দেশে ১৬৪টি সামরিক প্লেন-কপ্টার ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে তালেবান প্রশাসন হাতে পেয়েছে অর্ধেকেরও কম। যেগুলো পাওয়া গেছে, সেগুলোর অর্ধেকই আবার ব্যবহারের অযোগ্য।

আফগানিস্তান বিমান বাহিনীর জেটবিমান

আফগানিস্তানের বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণকারী কমিশনের মহাপরিচালক লতিফুল্লাহ হাকিমি জানান, ঘানি সরকারের সময়ে ১৬৪টি সামরিক বিমানের মধ্যে দেশে ৮১টি বিমান পাওয়া গেছে । সেগুলোর মধ্যে আবার সচল আছে মাত্র ৪১টি। অর্থাৎ আফগানিস্তানের যতগুলো বিমান ছিল, এখন তার কেবল এক-চতুর্থাংশই ব্যবহারোপযোগী।

লতিফুল্লাহ হাকিমি বলেন, আগস্টের মাঝামাঝি ঘানি সরকারের পতনের সময় আফগান সামরিক বিমানের অর্ধেকের বেশি বিভিন্ন দেশে উড়ে গেছে। এখন আমাদের হাতে ৪১টি সচল বিমান আছে, যেগুলো আফগান প্রকৌশলীরা মেরামত করেছেন।

আফগানিস্তানের বিমান বাহিনীর কপ্টার

হাকিমি বলেন, সাবেক আফগান কর্মকর্তা ও সামরিক ব্যক্তিরা তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ডজন বিমান উড়িয়ে নিয়ে গেছেন। এসব বিমান উদ্ধারের জন্য ইসলামিক আমিরাতের কর্মকর্তারা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।

ইসলামিক আমিরাতের ডেপুটি মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি জানান, উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ৪০টিরও বেশি বিমান প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে উড়ে গেছে। এসব বিমান ফেরত আনতে আলোচনা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজামি বলেন, বিমানগুলো বর্তমান আফগান সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুইটি দেশের (তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান) সরকারকে বহুবার আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা এতে সায় দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিমান হস্তান্তর করেনি। তারা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেতের দিকে তাকিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্মতি দেওয়া মাত্রই এ দুই দেশে থাকা বিমানগুলো আফগানিস্তানে ফিরবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মার্কিন এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও জোট আফগানিস্তানে তাদের ২০ বছরের সামরিক মিশনের অংশ হিসাবে প্রাক্তন আফগান সরকারকে বেশ কিছু বিমান সরবরাহ করে। দেশটির বিমান বাহিনীর পেছনে ৮০০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের