চীনা হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত হচ্ছে তাইওয়ান!

গণতান্ত্রিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রায়ই দাপিয়ে যায় অঞ্চলটি নিজেদের অংশ দাবি করা চীনা যুদ্ধবিমানের বহর। সাম্প্রতিক সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তজনার মধ্যে এবার বেইজিংয়ের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তাইপে।

তাইওয়ানের সামরিক মহড়া 

রয়টার্স জানায়, চীনা যুদ্ধবিমানের হুমকি মেকাবেলায় ৩ দিনের মহড়ায় নেমেছে তাইওয়ানের বিমানবাহিনী। দেশটির ছিয়াই শহরে আজ বুধবার শুরু হয় মহড়াটি, যা শেষ হবে শুক্রবার। এ মহড়ায় সম্প্রতি কেনা মার্কিন এফ-১৬ জঙ্গিবিমান অংশ নিচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে এসব বিমান তাইওয়ানি সীমানায় ঢোকা মাত্রই খুব সহজে আটকে দিতে পারবে চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মহড়ার বিস্তারিত তুলে ধরেন তাইওয়ানি সেনা কমান্ডার মেজর ইয়েন সিয়াং শেং। তিনি বলেন, এদেশের আকাশসীমায় কমিউনিস্টদের প্রবেশের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা সম্পর্কে আমরা সচেতন রয়েছি। চীনা যেকোনো যুদ্ধবিমান মোকাবেলায় আমাদের পাইলটরা প্রস্তুত।

তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমান, ফাইল ছবি

তাইওয়ানকে নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল দাবি করে আসছে চীন, আর তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম হিসেবে দাবি করে থাকে। তাইওয়ানের পক্ষ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো, তারা চীনের মোকাবেলায় অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছে অঞ্চলটিকে। এ ছাড়া দেশটিকে কূটনৈতিকসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

এর বিরুদ্ধে তাইপেকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দেয়া এবং ‘যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকা’র হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। দেশটি যেকোনো সময় তাইপের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামরিক হামলা চালাতে পারে, এমন ইঙ্গিতও মিলছে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়। তবে তা স্বীকার বা অস্বীকার করছে না বেইজিং।

এদিকে, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চুপচাপ বসে থাকবে না জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র, চীনকে বিষয়টি বুঝতে হবে বলে গত ১ ডিসেম্বর কড়া বার্তা দেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে।