আপনি পড়ছেন

করোনার সংক্রণের কারণে সরকার আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চায় না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সে জন্য টিকাদানের ওপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর একটি কলেজের রজতজয়ন্তীর উৎসবে যোগদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

dr dipu moniডা. দীপু মনি, ফাইল ছবি

করোনার জন্য দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফের করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবারো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হলে কবে নাগাদ সচল করা যাবে, তা অনিশ্চিত।

সে জন্য শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে সরকার প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের নিয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে।

classroom teachingশ্রেণিকক্ষে পাঠদান, ফাইল ছবি

এর আগে অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, নতুন কারিকুলাম পরীক্ষানির্ভর ও সনদসর্বস্ব হবে না, হবে দক্ষতানির্ভর। যা শিখছি, তা যেন প্রয়োগ করতে পারি- এমন দক্ষতানির্ভর শিক্ষায় যেতে চায় সরকার। শিখলাম পরীক্ষা দিলাম আবার ভুলে গেলাম- এমন শিক্ষায় কোনো লাভ নেই।

সমস্যা সমাধান করতে শিখতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, শিক্ষায় সততা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমও থাকতে হবে। তা না হলে শিক্ষার কোনো মূল্য থাকবে না। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথে দারিদ্র্য যেন বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে, সেটি চিন্তা করেতে হবে।

সম্প্রতি নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে স্কুলগুলো চালু রাখা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য অনলাইন শিক্ষা প্রত্যেক ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি। তার প্রেক্ষিতে পরে এক অনুষ্ঠানে ‘প্রয়োজনে ক্লাস বন্ধ করে দেয়ার’ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়, প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছরের ১৮ মার্চ। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে একই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় ধাপে ধাপে বাড়ানো হয় সেই ছুটির মেয়াদ, যা শেষ হয় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর।