চীনে আফগান রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ

চীনের পিকিংয়ে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত জাভেদ আহমদ কাইম তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক টুইটার পোস্টে সোমবার, ১০ জানুয়ারি, তিনি বলেছেন, ব্যক্তিগত এবং পেশাগত সমস্যার কারণে চীনে আফগান রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে ব্যক্তিগত ও পেশাগত কী সমস্যা তা প্রকাশ করতে চাননি তিনি। খবর খামা প্রেস।

জাভেদ আহমদ কাইম

গত বছরের ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দ্বিতীয় কোনো আফগান রাষ্ট্রদূত পদত্যাগ করলেন। এর আগে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি পদত্যাগ করেছিলেন। ওই পদে বর্তমানে নাসির আহমদ ফাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকদের ভাগ্য এখনও সবচেয়ে বড় বিতর্কিত বিষয়। যে সমস্যার কোনো সমাধান এখনও হয়নি। আফগানিস্তানের বেশির ভাগ কূটনৈতিক সংস্থা এখন বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কারণ তারা এখন বেতন পান না।

তালেবান সরকারের কয়েকজন দায়িত্বশীল, ফাইল ছবি

এর আগে আফগানিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শের মুহম্মদ আব্বাস স্তানেকজাই বলেছিলেন, তারা অন্যান্য দেশে আফগান রাষ্ট্রদূতদের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস থেকে নিয়মিত রিপোর্ট আদান প্রদান হচ্ছে।

২০২১ সালের আগস্টের মাঝামাঝি তালেবান কাবুলে প্রবেশের মাত্র এক সপ্তাহ পর সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোও তারা দখল করে। পাশাপাশি তালেবান শহর জুড়ে চেকপয়েন্ট স্থাপন করে। বিদেশে আফগানিস্তানের দূতাবাসগুলোর একটি তালিকা করে তালেবান সরকার। আফগানিস্তানের কূটনীতিকরা দূর থেকে এসব দেখছিলেন।

পরে কূটনীতিকরা দেখলেন, সবকিছু বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়েছে। তালেবানরা আফগানিস্তানের ৬৫টি বিদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। তবে দূতাবাস সমস্যার সমাধান মেলেনি। কোনো দেশ স্বীকৃতি না দেওয়ায় বিষয়গুলো এখনও ঝুলে আছে।

কাবুলে বর্তমানে কিছু দেশের দূতাবাস এখনও সক্রিয় রয়েছে। দেশগুলো হল- চীন, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, কাতার, রাশিয়া, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উজবেকিস্তান।