ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে উ. কোরিয়া

ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কারণে উত্তর কোরিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড এই তথ্য জানিয়েছেন। পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের রেজুলেশন অমান্য করেই মূলত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাগুলো চালাচ্ছে। আল জাজিরা।

ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে পিয়ংইয়ং

টমাস গ্রিনফিল্ড টুইটারে বলেছেন, ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা লঙ্ঘন করেছে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ছয়জন উত্তর কোরীয় নাগরিক, একজন রাশিয়ান এবং রাশিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য পণ্য সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।

লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলছেন, উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং এর বিস্তার কার্যক্রম সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রকে আমরা নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত আইন মানার বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই।

কিম জং উন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন, ওয়াশিংটন সম্প্রতি পাঁচ ব্যক্তির ওপর জাতিসংঘের যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দ করার প্রস্তাব দিয়েছে তা নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে চীন-রাশিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

পিয়ংইয়ং গত মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, কিম জং উন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন। এই ধরনের অস্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়াও তৈরি করছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।

জাতিসংঘ পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য ২০০৬ সালে উত্তর কোরিয়ার ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। অবৈধ কর্মসূচির জন্য তহবিল বন্ধ করতে কয়েক বছর ধরে চাপ কঠোর করা হচ্ছে। সবশেষ কিম এবং তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হ্যানয়ে একটি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুদেশের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচনা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। উত্তর কোরিয়া ২০২১ সালের প্রথমার্ধ থেকে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিকাশ অব্যাহত রেখেছে।